কম অথবা বেশি। তবে বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা তাদের দুশ্চিন্তাকে সহজেই কাটিয়ে উঠে, আল্লাহর ইচ্ছায়।
.
আজ আমরা হাদিসসম্মত কয়েকটি সমাধান শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
.
১. রাসূলুল্লাহ (সা.) একজন সাহাবিয়া (রা.)-কে বলেন, "আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শেখাব না, যা তুমি দুশ্চিন্তার সময় পড়বে? তা হলো, "আল্লাহু আল্লাহু রাব্বি~ লা~ উশরিকু বিহি~ শাইআ
মূল আরবি:
الله الله ربي ،لا أشرك به شيئا
অর্থ: আল্লাহ! আল্লাহই আমার রব, আমি তার সাথে কোন কিছুকে শরিক করি না।
এক বর্ণনায় এসেছে, এগুলো সাত বার বলা হবে। (আবু দাউদ: ১৫২৫, সহিহ)
.
২. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মাছের পেটের ভেতর থাকাবস্থায় ইউনুস (আ.) দু'আ করেছিলেন-- লা~ ইলা~হা ইল্লা আনতা সুবহা~নাকা ইন্নি~ কুনতু মিনায যোয়ালিমিন
মূল আরবি:
لا إله إلا أنت سبحانك إني كنت من الظالمين
অর্থ: তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তুমি পবিত্র, আমি তো যালিমদের একজন!
কোন মুসলিম যে বিষয়েই এভাবে ডেকেছে, আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, বিপদগ্রস্ত কেউ এভাবে ডাকলে তার বিপদ আল্লাহ অবশ্যই দূর করে দেবেন। (ইবনুস সুন্নি: ৩৩৮, আল কালিমুত ত্বইয়িব লি-ইবনি তাইমিয়্যাহ)
.
৩. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তির দু'আ হলো-- আল্লা~হুম্মা রাহমাতাকা আরজু~ ফালা তাকিলনি~ ইলা~ নাফসি~ ত্বরফাতা 'আইন, ওয়া আসলিহ লি~ শা-নি~ কুল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লা আনতা
মূল আরবি:
اللهم رحمتك أرجوا ،فلا تكلني إلى نفسي طرفة عين، وأصلح لي شأني كله، لا إله إلا أنت
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার করুণা চাই, এক মুহূর্তের জন্যও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিয়ো না। আমার সবকিছু সংশোধন করে দাও। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। (আবু দাউদ: ৫০৯০, হাসান)
.
৪. রাসূল (সা.) বলেন, (কষ্টদায়ক) সবকিছুতেই তোমাদের বলা উচিত -- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। এমনকি জুতার ফিতা (নষ্ট হয়ে যাওয়ার) ক্ষেত্রেও; কারণ এটিও বিপদ-মুসিবতের অংশ। (ইবনুস সুন্নি: ৩৫৪ হাসান)
.
এগুলোর পাশাপাশি আরো দুটো কাজ বেশি পরিমাণে করতে হবে।
এক. বেশি বেশি ইসতিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করতে হবে। যথাসম্ভব হাদিসে বর্ণিত বাক্য দিয়ে করাই উত্তম।
দুই. রাসূল (সা.)-এর উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে। এক্ষেত্রে নামাযের শেষ বৈঠকে পঠিত দুরুদই সর্বশ্রেষ্ঠ।
0 Comments