Ad

যেভাবে_কথা_বললে_মানুষ_বিরক্ত_হবে_না





নবীজি প্রয়োজন ব্যতীত কোন কথা বলতেন না। স্পষ্টভাবে কথা বলতেন। ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলতেন। তাঁর কথাবার্তা অধিক বিস্তারিত ছিলো না আবার অতি সংক্ষিপ্তও ছিলো না।
- হিন্দ ইবনু আবু হালা (রা.)[১]
.
রাসূলুল্লাহ্ তোমাদের মতো অস্পষ্টভাবে দ্রুততার সাথে কথা বলতেন না, বরং তাঁর প্রতিটি কথা ছিল সুস্পষ্ট। আর শ্রোতারা খুব সহজেই বুঝতে পারতো।
- আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা[১]
.
আমরা অনেকেই সঠিক পন্থায় কথা বলতে পারি না, ফলে কিছু সময়ের মধ্যেই অন্যের নিকট বিরক্তিকর হয়ে পড়ি। উৎকৃষ্টভাবে কথা বলতে পারি না বলে লোকজন আমাদের সঙ্গ উপভোগ করে না। আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথাবার্তার ধরণ থেকে শিক্ষা নিতে পারি। তাঁর কথায় মানুষ বিরক্ত হতো না, কারণ তিনি কথা বলতেন খুব হিসেব করে, স্পষ্টভাবে, মধ্যমপন্থায়।
.
এক ভাই বলেছিলেন, "সবসময় 'আমি আমি' করতে থাকা ব্যক্তিরা খুব দ্রুতই মানুষের নিকট বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়।" ব্যাপারটা এমনই। আপনি কী, আপনি কেমন ইত্যাদি জানার জন্য সব মানুষ আগ্রহী নয়, তাই এগুলো সবার সাথে বলে বেড়াবেন না। নিজের স্বামী/স্ত্রী বা খুব ঘনিষ্ঠ কারো সাথে কথা প্রসঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।
.
আরেকটি ব্যাপার হলো, কথা বলার সময় সঙ্গীর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে, তার কথাও শুনতে হবে। একজন প্রজ্ঞাবান সাহাবি উপদেশ দিয়ে বলেন, তোমাকে কান দেওয়া হয়েছে দুটো, সুতরাং বেশি শুনবে আর মুখ দেওয়া হয়েছে একটি, সুতরাং কম বলবে।
.
আপনার বক্তব্যকে অযথা দীর্ঘায়িত করবেন না; এটা বিরক্তির কারণ হয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হলো, তাঁকে বলা হয় "জাওয়ামিউল কালিম"। এর মানে হলো, তিনি অল্প কথায় অধিক ভাব প্রকাশ করতেন। কথাকে দীর্ঘ করা থেকে যথাসাধ্য বিরত থাকতেন। এই গুণটি যদি আমাদের মধ্যে আনতে পারি, তবে আমাদের আলাপচার খুবই উপভোগ্য হবে ইনশাআল্লাহ্।
-------------------
তথ্যসূত্রসমূহ:
-------------------
[১] শু'আবুল ঈমান: ১৩৬২, সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: ১৬৭
[২] মুসনাদ আহমাদ: ২৬২৫২, শারহুস সুন্নাহ: ৩৬৯৬, সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: ১৬৫

Post a Comment

0 Comments