Ad

🔹🔹মনে সদা আল্লাহর ভয় জাগ্রত থাকা

 



মনে সর্বদা আল্লাহর ভ য় জাগ্রত থাকাও ঈমানের আরেকটি অংশ। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা ইরশাদ করেন
فَلَا تَخَافُوهُمْ وَخَافُونِ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
‘তোমরা যদি মুমিন-ই হয়ে থাক, তাহলে তাদেরকে নয় আমাকেই
ভ য় কর।[১]
فَلَا تَخْشَوُا النَّاسَ وَاخْشَوْنِ
‘তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর।[২]
وَإِيَّايَ فَارْهَبُونِ
‘আর ভ য় কেবলমাত্র আমাকেই কর।[৩]
অন্য জায়গায় আল্লাহভীতিকে মুমিনের বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেন,
وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ
‘তারা সর্বদা আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত।[৪]
وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا ۖ وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ
তারা ভয় ও আশা নিয়ে আমাকে ডাকতো এবং তারাই ছিলো আমার কাছে বিনয়ী।[৫]
যারা আক্ষরিক অর্থেই আল্লাহকে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার। ইরশাদ হচ্ছে
وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে একদিন দাঁড়াতে হবে, এই ভয় রাখে, তার জন্য রয়েছে (জান্নাতে) দুটো বাগান।[৬]
ذَٰلِكَ لِمَنْ خَافَ مَقَامِي وَخَافَ وَعِيدِ
যারা আমাকে এবং আমার আযাবের ওয়াদাকে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে এ মর্যাদা।[৭]
সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (সা.) বলেছেন,
اتقوا النار ولو بشق تمرة
‘তোমরা এক টুকরা খেজুরের বিনিময়ে হলেও জা হা ন্না মে র
আ গু ন থেকে বাঁচো।”[৮]
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন
لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا
‘আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে তাহলে কম হাসতে এবং বেশী কাঁদতে।”[৯]
একবার এক ব্যক্তি তার বন্ধুকে জোরে জোরে কাঁদতে দেখে
ভ র্ৎ স না করলেন, কিন্তু তিনি বিরত না হয়ে কেঁদেই চললেন। কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেনঃ
‘আমি কাঁদি কারণ, আমার গু না হ্ অনেক
যারা গু না হ গার তাদের প্রত্যেকেরই কাদা উচিত।
যদি আমি নিশ্চিত হতে পারতাম, দুঃশ্চিন্তা আমার
দূর করে দেবে ক্রন্দন
তাহলে কেঁদে কেঁদে চোখ দিয়ে ঝরাতাম র ক্ত।
অন্য এক কবি বলেছেনঃ
কি করে মানুষ ঘুমায় নিশ্চিন্তে সে কি জানে না
ভয়াবহ এক সময় অপেক্ষমান সম্মুখে তার?
যে জানে সে তো অলক্ষে সবার
সিজদায় কাটায় প্রহর, ছেড়ে আরামের বিছানা।'
[১]. সূরা তাওবা, আয়াত : ১৭৫।
[২]. সূরা আল মায়িদা, আয়াত : ৪৪।
[৩]. সূরা আল বাকারা, আয়াত : ৪০।
[৪]. সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত : ২৮।
[৫]. সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত : ৯০।
[৬]. সূরা আর রাহমান, আয়াত : ৪৬।
[৭]. সূরা ইবরাহীম, আয়াত : ১৪।
[৮]. সহীহ্ আল বুখারী, যাকাত অধ্যায়; সহীহ মুসলিম, যাকাত অধ্যায়।
[৯]. মুসনাদ আহমদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজা।

Post a Comment

0 Comments