*আযানের জবাব দেয়া এবং আযানের পর দুয়া পড়ার ফজিলত সমূহঃ*
১. মুহাম্মাদ ইবন সালামা _ _ _ আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম (সাঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ *যখন তোমরা মুআযযিনকে আযান দিতে শুনবে তখন সে যেরুপ বলে –তোমরাও তদ্রুপ বলবে। অতঃপর তোমরা (আযান শেষে) আমার প্রতি দরুদ পাঠ করবে। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর এরবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন। অতঃপর তোমরা আল্লাহর নিকট আমার জন্য ওসীলা প্রার্থনা কর এবং ওসীলা হল জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান। আল্লাহ তা’আলার একজন বিশিষ্ট বান্দা ঐ স্থানের অধিকারী হবেন এবং আমি আশা করি আমিই সেই বান্দা। অতঃপর যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসীলার দু’আ করবে তার জন্য শাফাআত করা আমার উপর ওয়াজিব হবে*[সহীহ আবু দাউদ – ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস/৫২৩]
২. কুতায়বা ইবন সাঈদ _ _ _ ইবন আবু ওয়াককাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ *যে ব্যক্তি মুআযযিনের আযান শুনার পর বলবেঃ “আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু, রযীতু বিল্লা-হি রব্বা ওয়া বিমুহাম্মাদির রসূলা, ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনা” - তার সমস্ত (সগীরা) গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।*
[সহীহ আবু দাউদ –ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস/৫২৫]
৩. আলী ইবন আইয়্যাশ (র.) _ _ _ জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, *যে ব্যক্তি আযান শুনে দু’আ করে :“আল্লাহুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা’ওয়াতিত তা-ম্মাহ ওয়াস্বলা-তির ক্ব-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফায্বীলাহ, ওয়াব’আছহু মাক্ব-মাম মাহ:মূদানিল্লাযী ওয়া’আত্তাহ”। --কিয়ামতের দিন সে আমার শাফা’আত লাভের অধিকারী হবে।*
[সহীহ বুখারী শরীফ - ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস/৫৮৭, তাওহীদ পাবলিকেশন : হাদিস/৬১৪] [সহীহ আত তিরমিযি হাদিস/২১১]
৪. সা’দ ইবনু আবূ ওয়াককাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ *যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনে বলবে, “ওয়া আনা আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু রাযীতু বিল্লাহি রাব্বান ওয়া বিল-ইসলামি দীনান ওয়া বি মুহাম্মাদিন রাসূলান”আল্লাহ তা’আলা তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন*
[ সহীহ আত তিরমিযি হাদিস/২১০, সহীহ ইবনু মাজাহ হাদিস/৭২১]
৫- ইবনুস সারহ _ _ _ আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! মুআযযিনরা তো আমাদের উপর ফযীলত প্রাপ্ত হচ্ছে (আমাদের চেয়ে বেশি সওয়াবের অধিকারী হচ্ছে)। আমরা কিভাবে তাদের সমান ছওয়াব পাব? তিনি বলেনঃ মুআযযিনরা যেরুপ বলে – তুমিও তদ্রুপ বলবে। অতঃপর যখন আযান শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রুপ ছওয়ার প্রাপ্ত হবে। [সহীহ আবু দাউদ – ইসলামিক ফাউন্ডেশন : হাদিস/৫২৪]
0 Comments