Ad

🌕🌕কয়েকটি বিশাল ফজিলত পূর্ন সহিহ আমল।


⭕ তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ = এক বার কোরআন পাঠ করার সমান।
⭕১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করা=জান্নাতে ১ টি ঘর নির্মান।
⭕চার বার সূরা কাফিরুন পাঠ = এক খতম কোরআন পাঠ করার সমান।
⭕ফরয নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ = মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে আর কোন বাধা থাকে না।
⭕ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে = একজন ফেরেশতা সারারাত পাহারা দিবে।
⭕ঘুমানোর সময় সূরা কাফিরুন পাঠ করা = শির্ক থেকে মুক্ত।
⭕রাতে সূরা মূলক পাঠ = কবরের আযাব থেকে মুক্তি।
⭕জুমআর দিন সুরা কাহাফ এর ১০ আয়াত তিলাওয়াত = দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে মুক্তি।
⭕জামাতে নামাজ আদায় = ২৫/২৭ গুন বেশি সওয়াব।
⭕প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নত সালাত আদায় করা=জান্নাতে ১ ঘর নির্মান।
⭕যোহরের আগে চার রাকাত সুন্নত এবং পরে চার রাকাত সুন্নত সালাত পড়া=জাহান্নাম থেকে মুক্তি।
⭕১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পড়া =সমুদ্রের ফেনা রাশি পরিমান পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে।
⭕১০০ বার (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লাশারিকালাহ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়ালা কুল্লি শাইয়িন কাদির) পড়া=পাচটি বড় বড় পুরষ্কার। তার ভেতর সবচেয়ে বড় যেই ব্যাক্তি পড়বে তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কেউ আল্লাহর নিকট উপস্থিত হবে না যদি না তার থেকে বেশি পড়ে।
⭕যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামায থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে (অর্থাৎ যেভাবে বসে নামাজ শেষ করেছে সেভাবে বসেই, এদিক অদিক ঘুরা বা অন্য রকম করে বসার পূর্বেই) নিম্নোক্ত দোয়াটি ১০ বার পাঠ করবে,
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ইয়ুহ্‌য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”=
আল্লাহ্‌ তার আমলনামায় প্রত্যেকবারের বিনিময়ে ১০টি নেকি লিপিবদ্ধ করেন, ১০টি গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত করেন, প্রত্যেক অপ্রীতিকর বিষয় এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে (ঐ যিকির) রক্ষামন্ত্র হয়, নিশ্চিতভাবে শির্ক ব্যতীত তার অন্যান্য পাপ ক্ষমার্হ হয়। আর সে হয় আমল করার দিক থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তবে সেই ব্যক্তি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে যে তার থেকেও উত্তম যিকির পাঠ করবে”
⭕ফজর ও মাগরিবের সালাতের পর ৭ বার (আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার) বলা=জাহান্নাম নিজে আল্লাহর কাছে তার জন্য মুক্তি চাইবে।
⭕ফজর ও মাগরিবের সালাতের পর ৭ বার ( হাশবিয়াল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাহু আলাইহি তাও য়াককালতু ওয়া রব্বুল আরশিল আজিম) বলা=সকল প্রকার বালা মুসিবত থেকে আল্লাহ হেফাজত করবেন।
⭕প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ দাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর” পড়ে = তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমতুল্য হয়।
⭕রমজান মাসের উমরা = হজ্বের সমতুল্য!
⭕জানাযার নামাজ আদায় করা = ১ কীরাত সওয়াব (১ কীরাত হল উহুদ পাহাড়ের সমান)
⭕জানাযার নামাজ আদায় করা + দাফন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত থাকা = ২ কীরাত সওয়াব!
⭕উযূ করে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওনা করা = প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি গুনাহ মাফ ও একটি মর্যাদা বৃদ্ধি।
⭕ঘুমানোর সময় ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবর পাঠ করা=জড়তা ক্লান্তি সকল অলসতা দূর হয়ে যাবে।⭕ঘুমানোর সময় দুই হাত একত্রিত করে তিন কুল তিন বার পড়ে সামান্য থুতু বা ফুক দিয়ে সম্পুর্ন দেহ মাসেহ করা সামনের অংশ এবং যতদূর হাত যাই=সকল প্রকার ক্ষতি থেকে আল্লাহ হেফাজতে রাখবেন।
⭕ঘুমানোর সময় ওযু করে ঘুমানো=ফেরেশতা রা তার জন্য দোয়া করে।
(সূত্র : বুখারী ৬৪৮,৭৯৯,৫০১৫।আবু দাউদ ৫০৫৫।।তিরমিযী ৯৩৯,২৮৯৩)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন।এর যে কোন এক্টিও যদি নিয়মিত করি তাতেও বিশাল নেকি অর্জন করতে পারব।
আমিন

Post a Comment

0 Comments