১) বদর জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৩১৩ জন,
আর কাফিরদের সংখ্যা ছিলো ১০০০।
২) উহুদ জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৭০০ জন, আর কাফিরের সংখ্যা ছিলো ৩০০০।
৩) খন্দকের জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৩০০০, আর কাফিরদের সংখ্যা ছিলো ১২,০০০।
৪) মুতার জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৩০০০, আর কাফিরদের সংখ্যা ছিলো ২০,০০০।
৫) খাইবার জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৩০০০, আর কাফিরের সংখ্যা ছিলো ২০,০০০।
৬) তাবুকের জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৩০০০০, আর কাফিরদের সংখ্যা ছিলো ১ লক্ষ।
৭) ইয়ারমুখের জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৪০,০০০. আর কাফিরের সংখ্যা ছিলো ২ লক্ষ ৪০ হাজারের উপরে।
৮) কাদেসীয়া জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৩০,০০০. আর কাফিরের সংখ্যা ছিলো ১ লক্ষ ২০ হাজার।
৯) ভারত বর্ষ বিজয়কালে মুহম্মদ বিন কাসিম রহমতুল্লাহির সৈণ্য সংখ্যা ছিলো ৬০০০ আর হিন্দু রাজা দাহিরের সৈন্য সংখ্যা ছিলো ৫০,০০০।
১০) স্পেন আক্রমণে তারিক বিন যিয়াদ রহমতুল্লাহি’র সৈন্য সংখ্যা ছিলো ৭০০০ এবং কাফিরের সংখ্যা ছিলো ১ লক্ষ।
১১) বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ দখলের সময় (কুসেড যুদ্ধে) হযরত সালাউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি’র সৈন্য সংখ্যা ছিলে ৪০,০০০ এবং কাফিরদের সৈণ্য সংখ্যা ছিলো ৫ লক্ষ।
১২) পানিপথের জিহাদে মুসলমানদের সংখ্যা ছিলো ৫৩,০০০ এবং কাফির সংখ্যা ৩ লক্ষ।
উপরের প্রত্যেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মুসলমানরা কম সংখ্যক লোক নিয়ে অধিক সংখ্যক কাফিরের উপর জয়লাভ করেছে। কিন্তু এখন, মুসলমমারা অধিক সংখ্যক লোক হলেও সামান্য কাফিরদের কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েই যাচ্ছে। এর কারণ, তখন খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল ।
মুসলিমরা তদের হারানো গৌরব ফিরে পেতে হলে খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করতে হবে ঈমানী শক্তি বাড়াতে হবে এবং আল্লাহর রহমতের জন্যে প্রার্থনা করতে হবে
নবী করীম (সাঃ) বলেছেন :-
‘‘অচিরেই সকল কুফরী শক্তি তোমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে, যেমন আহারকারীগণ পরস্পর পরস্পরকে খাদ্যের পাত্রের দিকে আহবান করে থাকে।
জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করেন : আমাদের সংখ্যা সেদিন কম হওয়ার কারণে কি এমনটি হবে?
তিনি (সাঃ) বলেন : ‘‘না, বরং তোমাদের সংখ্যা সেদিন প্রচুর পরিমাণ হবে। তবে তোমরা হবে পানির ফেনা সমতুল্য।
আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ব্যাপারে ভীতিকর অবস্থা দূর করে দেবেন। অপরদিকে আল্লাহ তোমাদের অন্তরে দুর্বলতা ঢেলে দেবেন’’।
জনৈক ব্যক্তি জানতে চাইলেন : হে আল্লাহর রাসূল! দুর্বলতার অর্থ কি? তিনি (সাঃ) বলেন : ‘‘দুনিয়ার প্রতি মোহ এবং মৃত্যুর প্রতি অনীহা’’।
- (আবু দাউদ২/৫১৪) ।
0 Comments