যারা ফরজ নামাজের পর* *আয়াতুল কুরসী পড়েন তাদের জন্য»»মৃত্যুর যন্ত্রনা কেমন হবে—
হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর মৃত্যুর সময় যখন ঘনিয়ে এসেছে। নবীজীর ঘরের দরজায় একজন কড়া নাড়ছে । মা ফাতেমা (রাঃ)বললেন, “বাবা একজন নতুন লোককে দেখলাম দরজার পাশে।” নবীজী বললেন,“দরজা খুলে দেও তিনি আজরাইল (আঃ)তোমাকে এতিম করতে এসেছে।” ফাতেমা (রাঃ) দরজা খুলে দিলে প্রথমে জিবরাঈল (আঃ)পরে আজরাইল(আঃ) ঘরে প্রবেশ করল। হযরতে জিবরাঈল (আঃ) বলেন, “হে নবী! আজকে একজন নতুন ফেরেস্তা এসেছে, যে ফেরেস্তা দুনিয়ার কারো কাছে আসার সময় অনুমতি চাই না। আজকে আপনার কাছে অনুমতি চাইছে। আপনি যেতে চাইলে সে আপনাকে নিয়ে যাবে, না যেতে চাইলে আপনাকে রেখে যাবে।” নবীজী বললেন, “থাকতে চাইলে কতদিন থাকতে পারব?” জিবরাঈল (আঃ)বলেন, “আপনার যতদিন ইচ্ছা।” নবীজী বলেন, “তারপর কি?” জিবরাঈল(আঃ) বলেন, “তারপর যেতে হবেই কারণ জীবন যার আছে মৃত্যু তার হবেই।” নবীজী বলেন, “যেতে যখন হবে তাহলে এখনি আমি আমার আল্লাহর সাথে দেখা করতে চাই।”
হযরত আজরাইল (আঃ)প্রথমে নবীজীর বুকের উপর তার হাতটা রাখলেন।নবীজী বলেন, “আমার মনে হচ্ছে বুকের উপর ওহুদ পাহাড় রেখেছে।” নবীজী বলেন কি রাখলে আমার বুকের উপর? আজরাইল(আঃ) বলেন নবীজী আমি জানি আপনি আল্লাহর সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান, তাই আস্তে করে আমার হাতটা রাখলাম। নবীজী বলেন, “তোমার আস্তে করে রাখা হাতের যন্ত্রনা যদি ওহুদ পাহাড় রাখার সম কষ্ট হয়, না জানি কত কষ্ট মৃত্যুর যন্ত্রনা।”নবীজী বলেন,হে আজরাইল(আঃ)! আজকে কথা দিয়ে যাও মৃত্যুর যত কষ্ট আজকে আমাকে দিয়ে দাও তবু আমার দুর্বল উম্মতকে মৃত্যুর কষ্ট দিও না।”
আজরাইল বলেন, “হে নবী! আমি যেহেতু জান কবজ করব আমি বলে দেই আপনি আপনার উম্মতকে বলে দেন তারা যেন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে। আমি কথা দিলাম তারা মরণের কষ্ট তখন টের পাবে না..


0 Comments