উপায়-(১) :মুখোমুখি অবস্থান থেকে দূরে থাকা।
ইমরান বিন হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, "দাজ্জালের আগমন সংবাদ পেলে তোমরা দূরে পালিয়ে যেয়ো! কারণ, নিজেকে মুমিন ভেবে অনেক মানুষ তার মুখোমুখি হবে, কিন্তু অলৌকিক কর্মকাণ্ড দেখে অসহায়ের মতো তাকে অনুসরন করবে।" (মুসনাদে আহমদ -১৯৮৮৮)।
উম্মে শরীফ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (স.) বলেন, "দাজ্জালের ভয়ে মানুষ সুদূর পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেবে।" (মুসলিম -৭৫৮০)
উপায়-(২) :আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
আবু উমামা বাহেলী (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি দাজ্জালের আগুনে নিক্ষেপিত হবে, সে যেন আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে।" (ইবনে মাজাহ -৪০৭৭)
উপায়-(৩) :আল্লাহর সিফাতী নামসমূহ মুখস্ত করা।
দাজ্জাল হবে কানা। অথচ আল্লাহ কানা নন, বরং আল্লাহ পাক সকল ত্রুটি থেকে মুক্ত ও পবিত্র।
উপায়-(৪) :সূরা কাহফ-এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করে নিয়মিত পাঠ করা।
আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি সূরা কাহফ-এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করে নিল, সে দাজ্জাল থেকে রক্ষা পেয়ে গেল। " (মুসলিম -১৯১৯)
উপায়-(৫) :পূর্ণ সূরা কাহফ তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তুলা।
আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি নির্ভুলভাবে সূরা কাহফ পাঠ করল, দাজ্জাল তাকে সামনে পেলেও কোন ক্ষতি করবে না।" (মুস্তাদরাক হাকিম)
উপায়-(৬) :হারামাইন তথা মক্কা-মদীনায় আশ্রয় নেয়া।
কারণ, দাজ্জাল এলাকাদ্বয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
উপায়-(৭) :নামাযের শেষ বৈঠকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার দোয়া (দোয়া তাশাহুদ) পড়া।
উপায় -(৮)দাজ্জালের ফেতনাটি বেশি বেশি প্রচার করা।
সা'ব বিন জুছামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেন, "দাজ্জাল ততক্ষণ বের হবে না, যতক্ষণ না মানুষ তার আলোচনাকে ভুলে যায়। "(মাজমায়ে যাওয়ায়েদ) অর্থাৎ কেউ তখন দাজ্জালের আলোচনা করবে না। ফেতনার আধিক্য এর দরুন তার ব্যাপারটি মানুষ ভুলে যেতে বসবে।
উপায় - (৯)শরীয়তের জ্ঞানকে-ই একমাত্র মুক্তির উপায় মনে করা।
একজন মু'মিনের জন্য শরয়ী জ্ঞান-ই সকল ফেতনা হতে বাঁচার রক্ষাকবচ।হাদিসে এমনই একজন জ্ঞানী যুবকের দাজ্জালের মুকাবেলা করার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "মদীনায় ঢুকতে না পেরে দাজ্জাল পাশের জলাভূমিতে অবতরণ করবে।মদীনার এক উৎকৃষ্ট যুবক তখন দাজ্জালের মুকাবেলায় এগিয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র :মহাপ্রলয় (END OF THE WORLD )
লেখক: ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী
0 Comments