""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""'"""""""""
[তফসীর, সুরা নাহল, আয়াত-১২৬/১২৮]
--------------------------------------------------------------
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
---------------------------------------------
আল্লাহ তা'আলা বলেন-
---
"আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে সে পরিমানই গ্রহণ করবে যে পরিমাণ তোমরা নিপীড়িত হয়েছ।
কিন্তু যদি তোমরা সবর কর, তবে তা ধৈর্য্যধারণকারীদের জন্য উত্তম।
আপনি সবর করন, আর আপনার সবর করা তো কেবল আল্লাহরই সাহায্যে।
তাদের কারণে দুঃখ করবেন না, এবং তারা যেসব ষড়যন্ত্র করছে, সেজন্য সংকীর্ণমনা হবেন না।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাথে আছেন যারা তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) অবলম্বন করে এবং যারা নেককার।"
__________[সুরা-নাহল, ১২৬/১২৭/১২৮]______
~~~
১২৬-১২৭-১২৮ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:---
মক্কার কুরাইশরা যখন উহুদের মাঠে হামযা (রাঃ)-কে হত্যা করার পর তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে এবং তার সাথে যারা শহীদ হয়েছিল।
তাদের এ অবস্থা দেখে মুসলিমরা বলল:
যদি আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বিজয় দান করেন তাহলে আমরাও
ঐরূপ আচরণ করব। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।
অতঃপর সাহাবীরা প্রতিদানের কথা শুনে ধৈর্য ধারণ করে।
(তাফসীর আযআউল বায়ান)
~~~
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে কিসাস গ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছেন।
তবে যদি কেউ ক্ষমা করে দেয় তাহলে তা তার জন্য আরো উত্তম।
~~~
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ এবং যে ক্ষমা করে দেয় ও সংশোধন করে নেয়, তার বিনিময় আল্লাহর নিকট আছে।”
(সূরা শুরা ৪২:৪০)
~~~
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিলেন,
এবং তাদের ষড়যন্ত্রে মনঃক্ষুন্ন হতে নিষেধ করলেন।
কেননা আল্লাহ তা‘আলা অধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন না।
বরং তিনি তাদের সাথে আছেন যারা তাকে ভয় করে ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করে এবং সৎকর্ম করে।
~~~
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللّٰهَ مَعَنَا) ‘চিন্তা কর না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা তাওবা ৯:৪০)
~~~
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
“মূসা বলল:
‘কখনই নয় ! আমার সঙ্গে আছেন আমার প্রতিপালক;
সত্বর তিনি আমাকে পথনির্দেশ করবেন।’’
(সূরা শু‘আরা ২৬:৬২)
~~~
অতএব সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করতে হবে এবং বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
~~~
আয়াতগুলি হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. প্রতিশোধ গ্রহণ করা অপেক্ষা ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম।
-
২. আল্লাহ তা‘আলা সৎ কর্মপরায়ণ (অর্থাৎ নেককার) ব্যক্তিদেরকেই সাহায্য করেন।
-
৩. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৎ বান্দাদের সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের সাথে রয়েছেন।
___________[তফসীর ফাতহুল মাজীদ]______
0 Comments