"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
[সুরা-আরাফ, ২/৩ নং আয়াতের তফসীর]
---------------------------------------------------------------
'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
---------------------------------------------
মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন-
---
এটি একটি কিতাব, যা তোমার উপর নাযিল করা হয়েছে, এ ব্যাপারে তোমার অন্তরে যেন,
কোন প্রকার কুন্ঠাবোধ না হয়, (এটা নাযিল করা হয়েছে অমান্যকারীদেরকে) এর দ্বারা ভয় প্রদর্শন এর জন্য এবং মুমিনদের কে উপদেশ প্রদানের জন্য। (২)
-
"তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে, তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা তা মান্য করে চল,
তাঁকে ছাড়া (অন্যদের) অভিভাবক মান্য করো না, তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর।" (৩)
---------------------[সুরা-আরাফ, আয়াত-২/৩]
~~~
২/৩ নং আয়াতের সংক্ষিপ্ত তফসীর:
---
(হে নবী সঃ!) এই কিতাব (কুরআন) তোমার প্রতি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে।
এখন এর প্রচার এবং এর দ্বারা মানুষকে ভয় প্রদর্শনের ব্যাপারে তোমার মনে যেন কোন সংকীর্ণতা না আসে,
এবং এমন ধৈর্য অবলম্বন কর যেমন দুঃসাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নবীরা অবলম্বন করেছিল।
---
এটা অবতরণের উদ্দেশ্য এই যে, তুমি এর মাধ্যমে কাফিরদেরকে ভয় প্রদর্শন করবে।
আর মুমিনদের জন্যে তো এ কুরআন উপদেশবাণী। এই মুমিনরা তো কুরআনে,
অবতীর্ণ বিষয়ের অনুসরণ করেছে এবং উম্মী নবী (সঃ) যে কিতাব তাদের সামনে পেশ করেছেন তার তারা পদাংক অনুসরণ করেছে।
এখন একে ছেড়ে অন্যের পিছনে পড়ো না,
এবং আল্লাহর হুকুমের সীমা ছাড়িয়ে অপরের হুকুমের উপর চলো না। কিন্তু উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণকারীর সংখ্যা খুবই কম হয়ে থাকে।
~~~
'হে নবী (সঃ) ! তুমি যতই বাসনা, কামনা, লোভ ও চেষ্টা কর না কেন, এদের সকলকে উপদেশ ও শিক্ষা লাভ করাতে পারবে না।'
আল্লাহ পাক বলেনঃ
'হে নবী (সঃ) ! তুমি যদি সকলকেই সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা কর, তবে এই লোকেরা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে দেবে এবং তুমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে।
আর অধিকাংশ লোকই ঈমান আনয়ন করে না, বরং তারা মুশরিকই থেকে যায়।
-----------------[তফসীর- ইমাম ইবনে কাসির রহিঃ]
0 Comments