Ad

🕋 "শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা" 🕋

 


"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

[সুরা-মু'মিনুন- ৯৬/৯৭/৯৮, তফসীর]

-------------------------------------------------------

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, 

----------------------------------------------

আল্লাহ তা'আলা বলেন-

---

"যা উত্তম তা দিয়ে মন্দের প্রতিকার করুন। আমি সবিশেষ অবহিত যা তারা বলে।" (৯৬) 

-

আপনি প্রার্থনা করুনঃ 

"হে আমার 'রব' ! আমি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। (৯৭) 

-

"হে আমার 'রব' ! 

আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার কাছে তাদের (শয়তানদের) উপস্থিতি থেকে।" (৯৮)

_______[সুরা-মু'মিনুন, আয়াত-৯৬/৯৭/৯৮]______

~~~ 

৯৬-৯৮ নং আয়াতের তাফসীর: 

---

কাফির-মুশরিকদের কাছে দলীল-প্রমাণ পেশ করার পরেও 

যখন তারা ঈমান আনল না এবং আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে, 

কুফরী বর্জন করল না, তখন তাদের ওপর শাস্তি অবধারিত হয়ে গেল, 

এবং তাদেরকে যে বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল 

তা চলে আসা আবশ্যক হয়ে গেল। 

~~~ 

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলছেন: 

"হে আল্লাহ, যখন তাদেরকে শাস্তি দেবেন তখন যদি আমাকে দেখাতেন ! 

তবে শাস্তি দানে জালেমদের মাঝে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করবেন না। 

~~~ 

যেমন হাদীস বর্ণিত হয়েছে: 

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)‎ বলেন, 

"যখন আপনি কোন সম্প্রদায়কে ফেতনায় পতিত করার ইচ্ছা করেন 

তখন ফেতনায় পতিত করার পূর্বেই আমাকে আপনার নিকট উঠিয়ে নিন।" 

(মুসনাদ আহমাদ ৫/২৪৩, তিরমিযী হা: ৩২৩৩) 

~~~ 

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা, 

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নির্দেশ দিচ্ছেন, 

তিঁনি (রাসুল সাঃ) যেন ভাল দ্বারা মন্দের মোকাবেলা করেন। 

এতে করে যারা "শত্র" থাকবে তারাও বন্ধুতে পরিণত হবে। 

~~~ 

যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:

“ভাল এবং মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা : 

ফলে, তোমার সাথে যার শত্র“তা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। 

এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা ধৈর্যশীল, 

এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকে যারা মহা ভাগ্যবান।” 

(সূরা হা-মীম-সাজদাহ ৪১:৩৪-৩৫) 

~~~ 

সাথে সাথে এ নির্দেশও প্রদান করেছেন যে, 

"শয়তানের কুমন্ত্রণা, এবং জালিমদের সাহচর্য হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করুন।" 

~~~ 

যেমন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিম্নবর্ণিত দু‘আসমূহ পাঠ করতেন: 

আমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ আল্লাহ তা‘আলার নিকট বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা, কুমন্ত্রণা ও ফুঁৎকার হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 

(সহীহ ইবনু হিব্বান হা: ২৬০১) 

~~~ 

ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় পেলে তিঁনি এ দু‘আটি পড়তেন: 

"আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের অসীলায় তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট হতে, 

শয়তানের প্ররোচনাদি, এবং আমার নিকট ওদের হাজির হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 

(আবূ দাঊদ হা: ৩৮৯৩, তিরমিযী হা: ৩৫২৮, সহীহ) 

---

অতএব যে কোন (ভালো বা নেক) কাজ করতে গেলে শুরুতে মহান আল্লাহ তা‘আলার নাম নিয়ে, 

শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে আরম্ভ করা উচিত। 

~~~ 

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: 

১. জালিম সম্প্রদায়ের সাহচর্য ও শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। 

---

২. মন্দের মোকাবেলা করতে হবে ভাল দিয়ে, মন্দ দিয়ে নয়। 

__________[তফসীর ফাতহুল মাজীদ]________

Post a Comment

0 Comments