""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
---------------------------------------------
মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
---
"যারা আল্লাহ ছাড়া বহু অভিভাবক গ্রহণ করে, তাদের দৃষ্টান্ত ঐ মাকড়সার ন্যায়। [১]
যে একটি ঘর বানিয়েছে, আর ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো দু্র্বলতম, যদি তারা জানত।" [২]
_________[সুরা-আনকাবুত, আয়াত-৪১]______
~~~
৪১ নং আয়াতের সংক্ষিপ্ত তাফসীর-
[১] মাকড়সাকে “আনকাবূত” বলা হয়। এখানে সে মাকড়সা বোঝানো হয়েছে,
যে জাল তৈরী করে এবং তাতে বুলতে থাকে।
এই জালের সাহায্যে সে মশা-মাছি শিকার করে।
বলাবাহুল্য, জন্তু জানোয়ারের যত প্রকার বাসা ও ঘর বিদিত আছে,
তন্মধ্যে মাকড়সার জাল দুর্বলতর।
যা সামান্য বাতাসেও ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে যে,
যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করে এবং অন্যের উপর ভরসা করে,
তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সার জাল, যা অত্যন্ত দুর্বল।
এমনিভাবে যারা কোন প্রতিমা অথবা কোন মানুষের উপর ভরসা করে, তাদের ভরসা এমন,
যেমন মাকড়সা তার জলের উপর ভরসা করে।
[ইবনে কাসীর]
---
বিশ্ব-জাহানের প্রকৃত মালিককে বাদ দিয়ে যারা
একেবারে অক্ষম বান্দা ও সম্পূর্ণ কাল্পনিক উপাস্যদের ওপর নির্ভর করে চলছে
তার প্রকৃত অবস্থা মাকড়শার জালের চাইতে বেশী কিছু নয়।
মাকড়শার জাল যেমন
আঙ্গুলের সামান্য একটি টোকাও বরদাশ্ত করতে পারে না,
তেমনি তোমাদের আশার অট্টালিকাও আল্লাহর ব্যবস্থার সাথে প্রথম সংঘাতেই চূৰ্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।
সামান্য বৃষ্টিও যার সবকিছু বিনষ্ট করে দেয়, তোমাদের সামান্যতম উপকারও তারা করতে পারে না
[দেখুন, ফাতহুল কাদীর]
---
সুতরাং সত্য কেবল এই যে,
একমাত্র রাব্বুল আলামীন ছাড়া আর কারও উপর নির্ভর করা যায় না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“যে ব্যক্তি তাগুতকে (আল্লাহ বিরোধী শক্তিকে) অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করে
এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, সে এমন মজবুত নির্ভরকে আঁকড়ে ধরেছে যা কখনো ছিন্ন হবার নয়। বস্তুত আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন।"
(সূরা আল-বাকারাহ: ২৫৬]
~~~~~~~~~~~~~~~
[২] এর দুটি অর্থ হয়।
(এক) যদি তারা জানত যে তাদের মা’বুদগুলো মাকড়শার জালের মত, তবে তারা এ ধরনের মা’বুদের পিছনে কখনও থাকত না।
-
(দুই) যদি তাদের কোন জ্ঞান থাকত, তবে তারা জানত যে,
আল্লাহ্ তাদের মা’বুদদের অবস্থা খুব ভাল করেই জানেন। [ফাতহুল কাদীর]
-----------------[তফসীর আবু বকর জাকারিয়া]
0 Comments