হযরত মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে নামাযের জন্য (ওযূর সময়) মেসওয়াক করা হয়, তার ফযিলত ঐ নামাজের তুলনায় সওর গুন বেশী যার জন্য (ওযূর সময়) মেসওয়াক করা হয়নি।
হযরত মা আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন মেসওয়াক হলো মুখ পরিষ্কারকারী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।
এছাড়া হাদীস শরীফের বর্ণনানুযায়ী মেসওয়াকেরর নিম্নলিখিত ফযীলত সমূহ রয়েছে,
(১) নিয়মিত মেসওয়াক করলে, মৃত্যু কষ্ট লাঘব হয় এবং মৃত্যুরর সময় কালিমায়ে শাহাদাত স্মরণে আসে।
(২) কিয়ামত দিবসে আমলনামা ডান হাতে পাওয়ায় সহায়ক হবে।
(৩) পুলসিরাত বিজলীর মত দ্রুত পার হওয়ায় সহায়ক হবে।
(৪) মেসওয়াককারীর মৃত্যর সময় ফেরেশতা (আঃ) তার রুহ কবজ করার জন্য তার বন্ধুদের আকৃতিতে আসবেন। বরং কোন কোন রেওয়ায়াত মতে, এমন আকৃতিতে আসবেন, যে আকৃতিতে নবীগন (সাঃ) - এর রুহ কবজ করেছেন।
(৭) খাবার খাওয়ার পর মেসওয়াক করা দু'জন গোলাম আযাদ করা থেকে বেশী ফযীলতময়।
(৮) মেসওয়াককারীগনের প্রতিটি দাঁত ও আঙ্গুলের গিরার বদলে পাচঁটি করে নেকী লাভ হয়।
(৯) মেসওয়াককারীগন কেয়ামত পর্যন্ত সৃষ্ট মুসলমানের সংখ্যা বরাবর নেকী লাভ করবেন।
(১০) এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার দ্বারা সওর গুন সওয়াব হাছিল হবে।
আল্লাহ্পাক আমাদের প্রত্যককে নামাজের পূর্বে মেসওয়াক করার তৌফিক দান করে।
0 Comments