[সুরা আলে-ইমরান, আয়াত-৩১ তফসীর]
***************************************
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
--------------------------------------------
আল্লাহ তাআলা বলেন-
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰہُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳۱﴾
আপনি বলুন,
'‘তোমরা যদি প্রকৃতই আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর। [১]
তাহলে আল্লাহ
তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। [২]
বস্তুতঃ আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল,
পরম দয়ালু।’'
_____[সুরা আলে-ইমরান, আয়াত-৩১]_____
~~~
আয়াতের সংক্ষিপ্ত তফসীর-
[১] ইয়াহুদী এবং খ্রিষ্টান উভয় জাতিরই দাবী ছিল,
আমরা আল্লাহ তাআলাকে ভালবাসি এবং মহান আল্লাহ আমাদেরকে ভালবাসেন।
বিশেষ করে খ্রিষ্টানরা ঈসা (আঃ) এবং
তাঁর মা মারিয়্যাম (আলাইহিমাসসালাম)-এর প্রতি ভক্তি ও ভালবাসায়
এত বাড়াবাড়ি করল যে, তাঁদেরকে উপাস্যের আসনে বসিয়ে দিল।
আর এটাও তারা এই মনে করে করত যে, এর দ্বারা তারা
আল্লাহর নৈকট্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ও ভালবাসা লাভে ধন্য হতে পারবে।
মহান আল্লাহ বললেন,
কেবল মৌখিক দাবী এবং মনগড়া তরীকায় আল্লাহর ভালবাসা এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করা যায় না।
এ সব লাভ করার পথ তো একটাই।
আর তা হল,
শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপর ঈমান আনা এবং তাঁর অনুসরণ করা।
~~~
এই আয়াতে সমস্ত ভালবাসার দাবীদারদের জন্য একটি পথই নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
অতএব আল্লাহর ভালবাসার অনুসন্ধানী যদি মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর অনুসরণের মাধ্যমে তা অনুসন্ধান করে,
তাহলে অবশ্যই সে সফল হবে এবং স্বীয় দাবীতে সত্য প্রমাণিত হবে।
অন্যথায় সে মিথ্যুক হবে এবং উদ্দেশ্য হাসিলেও ব্যর্থ হবে।
~~~
নবী করীম (সাঃ)-এর উক্তিও হল,
"যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করল, যে কাজের নির্দেশ আমি দিইনি,
তার সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।" (বুখারী, মুসলিম)
~~~
অর্থাৎ, রসূল (সাঃ)-এর প্রদর্শিত তরীকা বহির্ভূত আমল প্রত্যাখ্যাত হবে; তথা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
~~~
[২] অর্থাৎ, রসূল (সাঃ)-এর অনুসরণ করার কারণে,
কেবল তোমাদের পাপই ক্ষমা করা হবে না,
বরং তোমরা আল্লাহর ভালবাসার পাত্র হয়ে যাবে।
আর কোন মানুষের আল্লাহর নিকট প্রিয় হয়ে যাওয়া যে অতীব উচ্চ মর্যাদা তাতে কোন সন্দেহ নেই।
______[তফসীর আহসানুল বয়ান]______
0 Comments