১- প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা
শাহাদত পাঠ করুণ(আশ্হাদু আল্লা-
ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-
শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না
মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)
এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে
কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে
পারবেন।(মুসলিম-২৩৪)
২- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে
আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে
মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে
পারবেন।(সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ
সহিহাহ-৯৭২)
৩- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩
বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার
আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু
আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা
লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু
ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)
পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব
পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে।(মুসলিম-১২
২৮) সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও
মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০
বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই
জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর
এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া
হচ্ছে।(মুসলিম, মিশকাত-১৮০৩)
৪- প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ
এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি
পেয়ে যাবেন।(সহিহ নাসাই, সহিহ
তারগিব, হাকিম-৩৮৩৯, সিলসিলাহ
সহিহাহ-১১৪০)
৫- রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০
বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন
এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর
সুপারিশ পাবেন।(তবরানি, সহিহ
তারগিব-৬৫৬)
৬- সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০
বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া
বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত
মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া
হবে। (সহিহ আবু দাউদ-৫০৯১)
৭- সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০
বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে
বেশী সওয়াব আর কারো হবে না।
(মুসলিম-২৬৯২)
৮- সকালে ও বিকালে ১০০ বার
সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার
আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু
আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা
লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু
ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর
পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে
(নাসাই,সহিহ তারগিব-৬৫১)
৯- বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা
লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু
য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল
লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া
‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ
করুণ এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০
লক্ষ পাপ মোচন হবে, ১০ লক্ষ
মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে
আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা
হবে। (তিরমিজি-৩৪২৮,৩৪২৯ শাইখ
আলবানী হাদিসটিকে হাসান সহিহ
বলেছেন)
১০- বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ
করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ
জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে
প্রবেশ করাবেন। (ইবনু হিব্বান-৪৯৯,
সহিহ তারগিব-৩১৬)
১১- জামাতে ইমামের প্রথম
তাকবীরের সাথে ৪০ দিন সলাত
আদায় করুন এতে আপনি নিশ্চিত
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
(তিরমিজি, সিলসিলাহ সহিহাহ-৭৪৭,
সহিহ তারগিব-৪০৪)
১২- প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ
এতিমখানা বা মসজিদ মাদ্রাসা বা
গরিব-দুখি, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে
দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প
এতে আপনি আল্লাহ তা’লার কাছে
জিহাদকারির সমতুল্য হবেন।
(বুখারি-৬০০৭)
১৩- মহিলারা ৪টি কাজ করবেন, ১- ৫
ওয়াক্ত সলাত ২- রমজানের সিয়াম,
৩- লযযাস্থানের হেফাজত, ৪-
স্বামীর আনুগত্য করুণ এতে
জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে
প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ ইবনু
হিব্বান-৪১৬৩)
১৪- মসজিদে ফজরের সলাত আদায়
করে বসে দোয়া জিকির পাঠ করুণ
এবং সূর্য উঠে গেলে ২ রাকাত
চাস্তের সলাত আদায় করুণ এতে
প্রতিদিন নিশ্চিত কবুল ১ টি হজ্জ
ও উমরার সওয়াব পাবেন।(তিরমিজি,
তারগিব-৪৬১)
(বি দ্রঃ শির্ক, বিদআত ও হারাম
ভক্ষণ থেকে দূরে না থাকলে কোন
দোয়াই কবুল হয় না)
0 Comments