حَتّٰۤی اِذَا جَآءَ اَحَدَہُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ارۡجِعُوۡنِ ﴿ۙ۹۹﴾
অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু আসে, সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে ফেরত পাঠান,
(সুরা:আল-মু'মিনুন:23:99)
(সুরা:আল-মু'মিনুন:23:99)
এমনকি যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু এসে হাজির হয় তখন সে বলে : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার (দুনিয়াতে) পাঠিয়ে দাও।
সুরা:আল-মু'মিনুন:
৯৯-১০০ নং আয়াতের তাফসীর:
কাফির-মুশরিকদের যখন মৃত্যু উপস্থিত হবে তখন তারা আল্লাহ তা‘আলার কাছে যে আবেদন পেশ করবে সে কথা তুলে ধরা হয়েছে। মৃত্যুর কঠিন যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়ে কাফির-মুশরিকরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে আবেদন করবে: হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে আবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিন, যাতে ফেলে আসা জীবনের ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এ আকাক্সক্ষা প্রত্যেক কাফির-মুশরিক মৃত্যুর সময় করবে। যেমন তাদের উক্তি:
৯৯-১০০ নং আয়াতের তাফসীর:
কাফির-মুশরিকদের যখন মৃত্যু উপস্থিত হবে তখন তারা আল্লাহ তা‘আলার কাছে যে আবেদন পেশ করবে সে কথা তুলে ধরা হয়েছে। মৃত্যুর কঠিন যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়ে কাফির-মুশরিকরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে আবেদন করবে: হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে আবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিন, যাতে ফেলে আসা জীবনের ভুলগুলো সংশোধন করতে পারি। এ আকাক্সক্ষা প্রত্যেক কাফির-মুশরিক মৃত্যুর সময় করবে। যেমন তাদের উক্তি:
(وَلَوْ تَرٰٓي إِذِ الْمُجْرِمُوْنَ نٰكِسُوْا رُؤُوْسِهِمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ ط رَبَّنَآ أَبْصَرْنَا وَسَمِعْنَا فَارْجِعْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا إِنَّا مُوْقِنُوْنَ)
“আর যদি তুমি দেখতে, যখন পাপীরা তাদের প্রতিপালকের সামনে স্বীয় মাথা নীচু করে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শ্রবণ করলাম, (এখন) তুমি আমাদেরকে পুনরায় (পৃথিবীতে) প্রেরণ কর; আমরা নেক কাজ করব। আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী হয়েছি।” (সূরা সাজদাহ ৩২:১২)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَأَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ أَنْ يَّأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُوْلَ رَبِّ لَوْلَآ أَخَّرْتَنِيْٓ إِلٰٓي أَجَلٍ قَرِيْبٍ لا فَأَصَّدَّقَ وَأَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِيْنَ)
“আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় কর তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে; (অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে,) হে আমার প্রতিপালক! আমাকে যদি কিছু কালের জন্য অবকাশ দিতেন তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।” (সূরা মুনাফিকূন ৬৩:১০-১১)
এরূপ সূরা আন‘আমের ২৭-২৮ নং, ইবরাহীমের ৪৪ নং, সূরা আ‘রাফের ৫৩ নং এবং সূরা মু’মিনের ১১-১২ নং আয়াতে আলোচনা রয়েছে।
এরূপ সূরা আন‘আমের ২৭-২৮ নং, ইবরাহীমের ৪৪ নং, সূরা আ‘রাফের ৫৩ নং এবং সূরা মু’মিনের ১১-১২ নং আয়াতে আলোচনা রয়েছে।
তাদের এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: ‘এটা একটি উক্তি মাত্র যা সে বলেছে’ অর্থাৎ এটা তার মুখের কথা যার কোন মূল্য নেই, এরূপ কথা দুনিয়াতে কতবার বলেছে। দুনিয়াতে যখন কোন বিপদে পড়ত তখন বলত, এ বিপদ থেকে মুক্তি পেলে আর কোন অন্যায় করবে না। কিন্তু যখনই মুক্তি লাভ করেছে তখনই তাতে জড়িত হয়েছে।
সুতরাং যা আমল করার তা মৃত্যুর পূর্বেই করতে হবে। মৃত্যু এসে গেলে আর কোন আমল করার সুযোগ পাওয়া যাবে না।
بَرْزَخٌ - হল এমন একটি জায়গা যা দুনিয়া ও আখিরাতের মধ্যে প্রতিবন্ধক। যেখানে সৎ বান্দারা আরাম-আয়েশ ও নেয়ামত ভোগ করবে আর অবাধ্যরা শাস্তি ভোগ করবে। আর তা হবে মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত, কবরস্থ করা হোক আর না-ই করা হোক।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মৃত্যু চলে আসলে আর কোন আমল করার সুযোগ থাকে না।
২. অসৎ ব্যক্তিরা মৃত্যুর পূর্বে দুঃখ করে আল্লাহ তা‘আলার কাছে আবেদন করবে দুনিয়াতে পুনরায় আসার জন্য কিন্তু তাদেরকে সে সুযোগ দেয়া হবে না।
৩. মৃত্যুর পর থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত সময়কে বারযাখী জীবন বলা হয়। এ জীবনে ঈমানদার ব্যক্তিরা জান্নাতের আরাম-আয়েশের অংশ পেয়ে থাকে, আর কাফির-মুশরিকরা জাহান্নামের শাস্তির অংশ পেয়ে থাকে।
২. অসৎ ব্যক্তিরা মৃত্যুর পূর্বে দুঃখ করে আল্লাহ তা‘আলার কাছে আবেদন করবে দুনিয়াতে পুনরায় আসার জন্য কিন্তু তাদেরকে সে সুযোগ দেয়া হবে না।
৩. মৃত্যুর পর থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত সময়কে বারযাখী জীবন বলা হয়। এ জীবনে ঈমানদার ব্যক্তিরা জান্নাতের আরাম-আয়েশের অংশ পেয়ে থাকে, আর কাফির-মুশরিকরা জাহান্নামের শাস্তির অংশ পেয়ে থাকে।
কেউ ফিরে আসেনি, আসবেওনা। নিজকে সংশোধনের আর সুযোগ থাকবেনা। আপনার কাছে থাকা এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।যা যে কোন সময় চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে...!
0 Comments