(১) আর মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই দুর্বল। সুরা আন-নিসাঃ ২৮।
(২) মানুষ তো সৃজিত হয়েছে অতিশয় অস্থির চিত্তরূপে। যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে, তখন সে হয় হায়-হুতাশকারী। আর যখন তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে, তখন সে হয় অতি কৃপণ। অবশ্য যারা সালাত কায়েম করে, তারা এর ব্যতিক্রম। সুরা আল-মাআ’রিজঃ ১৯-২২।
(৩) নিশ্চয়ই আমি মানুষের জন্য এই ক্বুরআনে সর্বপ্রকার উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। কিন্তু মানুষ সর্বাধিক বিতর্ক প্রিয়। সুরা আল-কাহফঃ ৫৪।
(৪) নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি বিপদ-কষ্টের মধ্যে। সুরা আল-বালাদঃ ৪।
(৫) যখন মানুষকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার পালনকর্তাকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন তাকে নেয়ামত দান করেন, তখন সে কষ্টের কথা ভুলে যায়, যার জন্যে ইতিপূর্বে সে আল্লাহকে ডেকেছিল এবং আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করে; যাতে করে অপরকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে। (হে নবী!) আপনি বলুন, তুমি তোমার কুফুরী সহকারে সামান্য কছু সময় জীবনকে ভোগ করে নাও। নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত। যুমারঃ ৪।
(৬) হে মানুষ! তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট পৌঁছানো পর্যন্ত যে কঠোর সাধনা করে থাকো, অতঃপর তুমি (তোমার কাজের প্রতিদান) দেখতে পাবে। সুরা আল-ইনশিক্বাক্বঃ ৬।
(৭) মানুষকে যখন দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে। এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে; এটা তো আমি আমার জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করেছি। অথচ এটা এক ফিতনাহ (পরীক্ষা), কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না। সুরা আয-যুমারঃ ৪৯।
(৮) তুমি যতই আগ্রহী হও না কেন, অধিকাংশ লোক-ই ঈমান আনবে না। সুরা ইউসুফঃ ১০৩।
(৯) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে কত আয়াত (নিদর্শন) রয়েছে যা তারা প্রত্যক্ষ করে; কিন্তু তারা এ সকল (আয়াতের) প্রতি উদাসীন। তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করে; কিন্তু তাঁর সাথে শিরক করে। সুরা ইউসুফঃ ১০৫-১০৬।
(১০) নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ। সুরা আন-নামলঃ ৭৩।
(১১) নিশ্চয়ই আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার প্রতি এই আমানত (ক্বুরআন) অর্পণ করতে চেয়েছিলাম। তারা ভয়ে তা বহন করতে অস্বীকার করল; কিন্তু মানুষ তা বহন করল। নিশ্চয় সে অতিশয় যালেম ও অতিশয় অজ্ঞ। সুরা আল-আহযাবঃ ৭২।
(১২) (হে নবী!) আপনি বলুন, আল্লাহ-ই তোমাদেরকে জীবন দান করেন, অতঃপর তোমাদের মৃত্যু ঘটান। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে কিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। সুরা আল-জাষিয়াহঃ ২৬।
(১৩) (হে নবী!) আপনি যদি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চলেন, তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে দেবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে এবং তারা কেবল অনুমানভিত্তিক কথা-বার্তাই বলে থাকে। সুরা আনআ’মঃ ১১৬।
(১৪) মানুষের অবস্থা এমন যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা স্বরূপ তাকে সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন সে (পরীক্ষার কথা ভুলে গিয়ে উল্লসিত হয় আর) বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষাস্বরূপ তার রিযক সংকুচিত করে দেন, তখন সে (হতাশ হয়ে পড়ে আর) বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে অপমানিত করেছেন। সুরা আল-ফাযরঃ ১৫-১৬।
(১৫) মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন তারা বিশুদ্ধ-চিত্তে তাদের প্রতিপালককে ডাকে; অতঃপর তিনি যখন তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন, তখন তাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সাথে শিরক করে। যাতে করে তাদেরকে আমি যা দিয়েছি, তা অস্বীকার করার জন্য। সুতরাং তোমরা ভোগ করে নাও, অতঃপর শীঘ্রই (তোমাদের কুফুরীর পরিণতি) জানতে পারবে। আমি কি তাদের নিকট এমন কোন দলীল অবতীর্ণ করেছি, যা তাদেরকে আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করতে বলে? আমি যখন মানষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন তারা তাতে উৎফুল্ল হয়, এবং তারা যখন নিজেদের কৃতকর্মের কারণে দুর্দশাগ্রস্ত হয়, তখন তারা হতাশ হয়ে পড়ে। সুরা আর-রূমঃ ৩৩-৩৬।
(১৬) মানুষ অতিশয় কৃপণ। সুরা বনী ইসরাঈলঃ ১০০।
(১৭) আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন যুলুম করেন না। বরং, মানুষ (পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে) নিজেই নিজেদের প্রতি জুলুম করে। সুরা ইউনুসঃ ৪৪।
0 Comments