নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে ; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
সহীহ, সহীহাহ্ (৯৪৬) তিরমিযি হাদিস নং 2416
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি জান, দেউলিয়া কে? তারা বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের মধ্যে দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার দিরহামও (নগদ অর্থ) নেই, কোন সম্পদও নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে সেই ব্যক্তি হচ্ছে দেউলিয়া যে কিয়ামাত দিবসে নামায, রোযা, যাকাতসহ বহু আমল নিয়ে উপস্থিত হবে এবং এর সাথে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত (হত্যা) করেছে, কাউকে মারধর করেছে, ইত্যাদি অপরাধও নিয়ে আসবে। সে তখন বসবে এবং তার নেক আমল হতে এ ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে, ও ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ বদলা (বিনিময়) নেয়ার আগেই তার সৎ আমল নিঃশেষ হয়ে গেলে তাদের গুনাহসমূহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে, তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
সহীহ, সহীহাহ্ (৮৪৫), আহকামুল জানাইয (৪), মুসলিম।
ফুটনোটঃ
আবূ ঈ’সা বলেন, এ হাদীসটি হাসান স’হীহ্।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪১৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এরূপ দুটি নিয়ামাত আছে যে ব্যাপারে বেশিরভাগ লোক ধোঁকায় নিপতিত : সুস্বাস্থ্য ও অবসর সময়।
সহীহ্ ; বুখারী।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩০৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন কে আছে যে আমার নিকট হতে এ কথাগুলো গ্রহণ করবে এবং সে মুতাবিক নিজেও আমল করবে অথবা এমন কাউকে শিক্ষা দিবে যে অনুরূপ আমল করবে? আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আছি। অত:পর তিনি আমার হাত ধরলেন এবং গুনে গুনে এ পাঁচটি কথা বললেনঃ তুমি হারাম সমূহ হতে বিরত থাকলে লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় আবিদ বলে গণ্য হবে; তোমার ভাগ্যে আল্লাহ্ তা’আলা যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তাতে খুশি থাকলে লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা স্বনির্ভর বলে গণ্য হবে; প্রতিবেশীর সাথে ভদ্র আচরণ করলে প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে; যা নিজের জন্য পছন্দ কর তা-ই অন্যের জন্যও পছন্দ করতে পারলে প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে এবং অধিক হাসা থেকে বিরত থাক। কেননা অতিরিক্ত হাস্য-কৌতুক হৃদয়কে মৃতবৎ করে দেয়।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩০৫
হাদিসের মান: হাসান
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বেশি পরিমাণে জীবনের স্বাদ হরণকারীর অর্থাৎ মৃত্যুর স্মরণ কর।
হাসান, সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৪২৫৮)।
উসমান (রাঃ)-এর মুক্তদাস হানী থেকে বর্ণিতঃ
উসমান (রাঃ) কোন কবরের পাশে দাঁড়িয়ে এত কাঁদতেন যে, তার দাড়ি ভিজে যেত। তাকে প্রশ্ন করা হলো, জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা করা হলে তো আপনি কাঁদেন না, অথচ এই কবর দর্শনে এত বেশি কাঁদেন কেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আখিরাতের মানযিলসমূহের (প্রাসাদ) মধ্যে কবর হলো প্রথম মানযিল। এখান হতে কেউ মুক্তি পেয়ে গেলে তবে তার জন্য পরবর্তী মানযিলগুলোতে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। আর সে এখান হতে মুক্তি না পেলে তবে তার জন্য পরবর্তী মানযিলগুলো আরো বেশি কঠিন হবে। তিনি (উসমান) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ আমি কবরের দৃশ্যের চাইতে অধিক ভয়ংকর দৃশ্য আর কখনো দেখিনি।
হাসান , ইবনু মা-জাহ (৪২৬৭)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩০৮
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করাকে যে লোক পছন্দ করে, তার সাথে সাক্ষাৎ করতে আল্লাহ্ তা’আলাও পছন্দ করেন। আর আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করতে যে লোক অপছন্দ করে, আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে অপছন্দ করেন।
সহীহ্ , বুখারী, মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩০৯
হাদিসের মান: সহিহ
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলো : “আপনি আপনার নিকটাত্মীয়দের ভয় প্রদর্শন করুন” (২৬ : ২১৪), তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে সাফিয়্যা বিনতু আবদিল মুত্তালিব, হে ফাতিমা বিনতু মুহাম্মাদ, হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধর! আল্লাহ্ তা’আলার (পাকড়াও) হতে তোমাদেরকে বাঁচানোর ক্ষমতা আমার নেই। আমার ধন-সম্পদ হতে তোমরা যতটুকু খুশি চাইতে পার
সহীহ্ , মুসলিম (১/১৩৩)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার ভয়ে ক্রন্দনকারী ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যেরূপ দোহনকৃত দুধ আবার স্তনে ফিরিয়ে নেয়া যায় না। আর আল্লাহ্ তা’আলার পথের (জিহাদের) ধুলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনো একত্র হবে না।
সহীহ্ , মিশকাত (৩৮২৮), তা’লীকুর রাগীব (২/১৬৬)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি (অদৃশ্য জগতের) যা দেখি তোমরা তা দেখ না, আর আমি যা শুনতে পাই তোমরা তা শুনতে পাও না। আসমান তো চড়চড় শব্দ করছে, আর সে এই শব্দ করার যোগ্য। তাতে এমন চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গাও নেই যেখানে কোন ফেরেশতা আল্লাহ্ তা’আলার জন্যে অবনত মস্তকে সাজদায় পড়ে না আছে। আল্লাহ্র শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা খুব কমই হাসতে, বেশি কাঁদতে এবং বিছানায় স্ত্রীদের উপভোগ করতে না, বাড়ী-ঘর ছেড়ে পথে-প্রান্তরে বেরিয়ে পড়তে, আল্লাহ্ তা’আলার সামনে কাকুতি-মিনতি করতে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মন চায় আমি যদি একটি বৃক্ষ হতাম আর তা কেটে ফেলা হতো। “আমার মন চায়....” অংশ ব্যতীত হাদীসটি হাসান,
ইবনু মা-জাহ (৪১৯০)।
ফুটনোটঃ
আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, আইশা, ইবনু আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। অপর একটি সূত্রে বর্ণিত আছে যে, আবূ যার (রাঃ) বলেন, আমার আকাঙক্ষা যে, “আমি যদি একটি গাছ হতাম যা কেটে ফেলা হতো”। আবূ যার (রাঃ) হতে এ হাদীসটি মাওকূফ হিসাবেও বর্ণিত আছে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩১২
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তাহলে খুব অল্পই হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।
সহীহ্ , ফিকহুস সীরাহ্ (৪৭৯), বুখারী, মুসলিম আনাস (রাঃ) হতে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩১৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক এমন কথাও বলে যে প্রসঙ্গে সে মনে করে যে, তাতে কোন অসুবিধা নেই, এইজন্য সে সত্তর বছর জাহান্নামে অবস্থান করবে।
হাসান সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৩৯৭০)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩১৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
বাহ্য ইবনু হাকীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার দাদা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি : সেই লোক ধ্বংস হোক যে মানুষদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে। সে নিপাত যাক, সে নিপাত যাক।
হাসান , গাইয়াতুল মারাম (৩৭৬), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৪৮৩৮)।
ফুটনোটঃ
আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং2315
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযানী (রাঃ) নামীয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কখনো আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে ধারণাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌছবে, অথচ আল্লাহ্ তা’আলা তার এ কথার কারণে তাঁর সাথে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য স্বীয় সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কখনো আল্লাহ্ তা’আলার অসন্তুষ্টির কথা বলে, যার সম্পর্কে সে চিন্তাও করে না যে, তা কোন পর্যন্ত গিয়ে পৌছবে। অথচ এ কথার কারণে আল্লাহ্ তা’আলা তার সাথে মিলিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।
সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৩৯৬৯)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩১৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার নিকট যদি এই পৃথিবীর মূল্য মশার একটি পাখার সমানো হত তাহলে তিনি কোন কাফিরকে এখানকার পানির এক ঢোকও পান করাতেন না।
সহীহ্ , সহীহাহ্ (৯৪০)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : দুনিয়া ও তার মাঝের সকলকিছুই অভিশপ্ত, কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলার যিকির ও তার সাথে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য আমল, আলিম ও ইলম অন্বেষণকারী এর ব্যতিক্রম।
হাসান , ইবনু মা-জাহ (৪১১২)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২২
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
বানূ ফিহ্রের মুসতাওরিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া আখিরাতের তুলনায় এতটুকু, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রের পানিতে তার একটি আঙ্গুল ডুবিয়ে তুলে আনল। সে দেখুক তার আঙ্গুল কতটুকু পানি নিয়ে ফিরেছে।
সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৪১০৮), মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া (পার্থিব জীবন) মু’মিনদের জন্য কারাগারস্বরূপ এবং কাফিরদের জন্য জান্নাতস্বরূপ।
সহীহ্ , মুসলিম (৮/২১০)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবূ কাবশা আল-আনমারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন : আমি তিনটি বিষয়ে শপথ করছি এবং সেগুলোর ব্যাপারে তোমাদেরকে বলছি। তোমরা এগুলো মনে রাখবে। তিনি বলেন, দান-খাইরাত করলে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দার উপর যুলুম করা হলে এবং সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ্ তা’আলা অবশ্যই তার সম্মান বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দাহ ভিক্ষার দরজা খুললে অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলাও তার অভাবের দরজা খুলে দেন অথবা তিনি অনুরূপ কথা বলেছেন। আমি তোমাদেরকে একটি কথা বলছি, তোমরা তা মুখস্থ রাখবে। তারপর তিনি বলেনঃ চার প্রকার মানুষের জন্য এই পৃথিবী। আল্লাহ্ তা’আলা যে বান্দাহকে ধন-সম্পদ ও ইল্ম (জ্ঞান) দিয়েছেন, আর সে এই ক্ষেত্রে তার প্রভুকে ভয় করে, এর সাহায্যে আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করে এবং এতে আল্লাহ্ তা’আলারও হক আছে বলে সে জানে, সেই বান্দার মর্যাদা সর্ব্বোচ্চ। আরেক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ্ তা’আলা ইল্ম দিয়েছেন কিন্তু ধন-সম্পদ দেননি সে সৎ নিয়্যাতের (সংকল্পের) অধিকারী। সে বলে, আমার ধন-সম্পদ থাকলে আমি অমুক অমুক ভালো কাজ করতাম। এই ধরনের লোকের মর্যাদা তার নিয়্যাত মুতাবিক নির্ধারিত হবে। এ দুজনেরই সাওয়াব সমান সমান হবে। আরেক বান্দাহ, আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ধন-সম্পদ প্রদান করেছেন কিন্তু ইল্ম দান করেননি। আর সে ইল্মহীন (জ্ঞানহীন) হওয়ার কারণে তার সম্পদ স্বীয় প্রবৃত্তির চাহিদা মতো ব্যয় করে। সে ব্যক্তি এ বিষয়ে তার রবকেও ভয় করে না এবং আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহারও করে না। আর এতে যে আল্লাহ্ তা’আলার হক রয়েছে তাও সে জানে না। এই লোক সর্বাধিক নিকৃষ্ট স্তরের লোক। অপর এক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ্ তা’আলা ধন-সম্পদও দান করেননি, ইল্মও দান করেননি। সে বলে, আমার যদি ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুক অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃত্তির বাসনামতো) কাজ করতাম। তার নিয়্যাত মুতাবিক তার স্থান নির্ধারিত হবে। অতএব, এদের দুজনের পাপ হবে সমান সমান।
সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৪২২৮)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেউ যদি অভাব-অনটনে পড়ে তা মানুষের নিকট উপস্থাপন করে তাহলে তার অভাব-অনটন দূর হবে না। আর যে ব্যক্তি অভাব-অনটনে পড়ে তা আল্লাহ্ তা’আলার নিকট উপস্থাপন করে তবে অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলা তাকে দ্রুত অথবা বিলম্বে রিযিক দান করেন।
তাকে দ্রুত মৃত্যু দেন অথবা দ্রুত ধনশালী করেন এই অর্থে হাদীসটি সহীহ্ , সহীহ্ আবূ দাঊদ (১৪৫২), সহীহাহ্ (২৭৮৭)
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (অযাচিত) পার্থিব সম্পদ গ্রহণ করো না। কেননা, এর দ্বারা তোমরা দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আবদুল্লাহ ইবনু বুস্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন এক গ্রাম্য লোক প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন লাভ করেছে এবং তার কর্মকান্ড সুন্দর হয়েছে।
সহীহ্ , সহীহাহ্ (১৮৩৬), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫২৮৫),
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩২৯
হাদিসের মান: সহিহ
আবূ বাক্রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! উত্তম ব্যক্তি কে? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন পেয়েছে এবং তার আমল সুন্দর হয়েছে। সে আবার প্রশ্ন করল, মানুষের মধ্যে কে নিকৃষ্ট? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন পেয়েছে এবং তার আমল খারাপ হয়েছে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৩০
হাদিসের মান: সহিহ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের (গড়) আয়ু ষাট হতে সত্তর বছর হবে।
আমার উম্মাতের বয়স ষাট ও সত্তরের মাঝামাঝি এই অর্থে হাদীসটি হাসান সহীহ্ ৩৩১৩ নং পরবর্তীতে বর্ণনা আসবে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৩১
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার শরীর স্পর্শ করে বললেনঃ পৃথিবীতে এমনভাবে দিনযাপন কর, যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির। তুমি নিজেকে কবরবাসীদের অন্তর্ভূক্ত মনে কর। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) আমাকে বললেনঃ তুমি সকালে উপনীত হয়ে বিকালের জন্য নিজেকে অস্তিত্ববান মনে করো না এবং বিকালে উপনীত হয়ে সকালের জন্য নিজেকে অস্তিত্ববান মনে করো না। অসুস্থ হওয়ার পূর্বে তোমার সুস্থতার এবং মৃত্যুর পূর্বে তোমার জীবনের সুযোগকে কাজে লাগাও। কেননা, হে আল্লাহ্র বান্দা! তুমি তো জান না, আগামীকাল তুমি কি নামে অভিহিত হবে।
সহীহ্ , সহীহাহ্ (১১৫৭), বুখারী।
“তুমি নিজেকে কবরবাসী মনে কর এবং তুমি তো জাননা”
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৩৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এক নাগাড়ে দুইদিন যবের রুটি পেট ভরে খেতে পাননি।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৫৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কখনো টেবিলে খাবার খাননি এবং কখনো পাতলা রুটিও খাননি।
সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৩২৯২, ৩২৯৩), বুখারী।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৬৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
মুস‘আব ইবনু সা’দ (রাহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (সা’দ) বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! মানুষের মাঝে কার বিপদের পরীক্ষা সবচেয়ে কঠিন হয়? তিনি বললেনঃ নাবীদের বিপদের পরীক্ষা, তারপর যারা নেককার তাদের, এরপর যারা নেককার তাদের বিপদের পরীক্ষা। মানুষকে তার ধর্মানুরাগের অনুপাত অনুসারে পরীক্ষা করা হয়। তুলনামূলকভাবে যে লোক বেশি ধার্মিক তার পরীক্ষাও সে অনুপাতে কঠিন হয়ে থাকে। আর যদি কেউ তার দ্বীনের ক্ষেত্রে শিথিল হয়ে থাকে তাহলে তাকে সে মোতাবিক পরীক্ষা করা হয়। অতএব, বান্দার উপর বিপদাপদ লেগেই থাকে, অবশেষে তা তাকে এমন অবস্থায় ছেড়ে দেয় যে, সে যমীনে চলাফেরা করে অথচ তার কোন গুনাহ্ই থাকে না।
হাসান, সহীহ্ , ইবনু মা-জাহ (৪০২৩)।
ফুটনোটঃ
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবূ হুরাইরা ও হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ)-এর বোন থেকেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল : কোন ব্যক্তি সবচাইতে বেশি বিপদগ্রস্ত হয়? তিনি বললেন : নাবীগণ, তার পর যারা নেককার তাদের।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৯৮
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
সাহ্ল ইব্নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, জান্নাতের মাঝে এক চাবুক পরিমিত জায়গা দুনিয়া এবং তার মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। আর আল্লাহ্র পথে সকালের এক মুহূর্ত কিংবা বিকালের (সন্ধ্যা) এক মুহূর্ত দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৩)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪১৫
আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি, নিজের সম্পদ হতে তার উত্তরাধিকারীর সম্পদকে অধিক প্রিয় মনে করে? তারা সবাই জবাব দিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে তার নিজের সম্পদকে সবচেয়ে অধিক প্রিয় মনে করে না। তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই মানুষের নিজের সম্পদ তা-ই, যা সে (সৎ কাজে ব্যয়ের মাধ্যমে) আগে পাঠিয়েছে। আর সে পিছনে যা রেখে যাবে তা তার ওয়ারিছের মাল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৮)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৪২
ইমরান ইব্নু হুসায়ন (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি জান্নাতের মধ্যে ঝুঁকে দেখলাম, অধিকাংশ জান্নাতবাসী দরিদ্র আর আমি জাহান্নামের দিকে ঝুঁকে দেখলাম, অধিকাংশ জাহান্নামী মহিলা। [১৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৫)
ফুটনোটঃ
[১] اطَّلَعْتُ فِي الْجَنَّةِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا الْفُقَرَاءَ বর্ণনাটি সম্পদশালীর উপর দরিদ্রের ফযীলত অপরিহার্য করবে না। কারণ বর্ণনাটি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জান্নাতে ধনীদের তুলনায় দরিদ্রদের আধিক্যের সংবাদ প্রদান। যেমন কারো দুনিয়ার অবস্থা সম্পর্কে সংবাদ দেয়া যে, দুনিয়ার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী দরিদ্র। সুতরাং জান্নাতে যাওয়ার মাপকাঠী দারিদ্র্য নয় বরং সততা। কেননা- দরিদ্র যদি সৎ ও ভাল না হয় তবে তাকে মর্যাদা দেয়া যাবে না। (ফাতহুল বারী)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৪৯
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারবর্গ মদিনায় আসার পর থেকে এক নাগাড়ে তিন দিন গমের রুটি পরিতৃপ্ত হয়ে খাননি। এবং এ অবস্থায় তাঁর ওফাত হয়ে গেল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১০)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৫৪
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। আল্লাহ্ যেদিন রহমত সৃষ্টি করেন সেদিন একশটি রহমত সৃষ্টি করেছেন। নিরানব্বইটি তাঁর কাছে রেখে দিয়েছেন এবং একটি রহমত সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদি কাফির আল্লাহ্র কাছে সুরক্ষিত রহমত সম্পর্কে জানে তাহলে সে জান্নাত লাভে নিরাশ হবে না। আর মু’মিন যদি আল্লাহ্র কাছে যে শাস্তি আছে সে সম্পর্কে জানে তা হলে সে জাহান্নাম থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করবে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৫)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৬৯
মুগীরাহ ইব্নু শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুগীরাহ ইব্নু শু‘বাহ (রাঃ)-কে বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত (দীর্ঘ সময় ধরে) সলাত আদায় করতেন যে, তাঁর দু’পা ফুলে যেত। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ আমি কি শুকরগুযার বান্দা হবো না?(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৭)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৭১
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসেবেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা হবে এমন লোক, যারা ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেয় না, শূভ অশুভ মানে না এবং তাদের প্রতিপালকের উপরই ভরসা রাখে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৮)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৭২
সাহ্ল ইব্নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তাঁর জান্নাতের যিম্মাদার। [২৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩০)
ফুটনোটঃ
[২৫] দুনিয়াতে যত ফিতনা ফাসাদ ও অপকর্ম সংঘটিত হয় তার অধিকাংশই হয়ে থাকে জিহ্বা ও লজ্জা স্থানের দ্বারা । এ দুটোকে যে সংযত করবে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৭৪
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির সাথীরূপে তার সঙ্গে যায়। অতঃপর দু’টি ফিরে আসে এবং একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। সঙ্গে গমন করে পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ এবং তার ‘আমাল। তার জাতি গোষ্ঠী ও ধন-সম্পদ ফিরে আসে আর কেবল তার ‘আমাল থেকে যায়। (ই.ফা. ৭১৫৫, ই.সে. ৭২০৮)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩১৪
সুহায়ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মু’মিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকর-গুজার করে আর অস্বচ্ছলতা বা দু:খ-মুসীবাতে আক্রান্ত হলে সবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর। (ই.ফা. ৭২২৯, ই.সে. ৭২৮২)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং 6390
সুহায়ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মু’মিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকর-গুজার করে আর অস্বচ্ছলতা বা দু:খ-মুসীবাতে আক্রান্ত হলে সবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর। (ই.ফা. ৭২২৯, ই.সে. ৭২৮২)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩৯০
0 Comments