#জান্নাতী_রমণী
💝 জান্নাতি মহিলারা তাদের স্বামীদের সমবয়স্কা হবে।
💝 জান্নাতে প্রবেশকারী মহিলাদের আল্লাহ নতুনভাবে সৃষ্টি করবেন আর তারা কুমারী অবস্থায় জান্নাতে যাবে।
💝 জান্নাতি রমণীগণ যদি একবার দুনিয়ার দিকে উঁকি দেয় তবে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমস্ত জায়গা আলোকিত হয়ে যাবে।
💝 রমণীগণ এতো সুন্দর হবে যে তাদের দেহের ভিতরের হাড্ডির মজ্জা বাহির থেকে দৃষ্টিগোচর হবে।
#হুরেঈন 💟💝💜💛💙
💖 হুরেরা ডিমের ভিতর লুকায়িত সূক্ষ্ম চামড়ার চেয়েও অধিক নরম হবে। (সূরা আস সাফফাত ৪৮-৪৯
💖 হুরগণ তাদের স্বামীদের সমবয়স্কা হবে।
💖 হুরেরা এতো লজ্জাশীল হবে যে স্বীয় স্বামী ছাড়া অন্য কারো দিকে চোখ তুলে তাকাবেনা।
💖 হুরগণ ডাগর ডাগর চোখবিশিষ্ট হবে, চোখের কালো অংশ একেবারে কালো, এবং সাদা অংশ একেবারে সাদা হবে।
#জান্নাতের_গাছপালা
🌳🌴 জান্নাতের সব ধরনের #ফলের গাছ থাকবে, তবে খেজুর, ডালিম, আংগুরের গাছ অধিক পরিমাণে থাকবে।
🌳জান্নাতের বৃক্ষ কন্টকমুক্ত হবে।
🌳 কলা ও কুল জান্নাতের বৃক্ষ।
🌳 জান্নাতে বৃক্ষ সমূহের ছায়া অনেক দীর্ঘ হবে।
🌳 জান্নাতের সব গাছের মূল স্বর্ণের হবে। (তিরমিযি)
🌳 তুবা জান্নাতের একটি গাছের নাম যার ছায়া শত বছরের রাস্তার সমান দৈর্ঘ্য। এই বৃক্ষের ফলের খোসা দিয়ে জান্নাতিদের বস্ত্র তৈরি করা হবে।
#জান্নাতের_ফল_ফলাদিঃ 🍉🍊🍅🍒🍑🍏🍎🍍
🍓 জান্নাতে মৌসুমি সর্বপ্রকার ফল থাকবে।
🍌 কলা ও কুল জান্নাতের ফল। (সূরা ওয়াক্বিয়াহ ২৭-৩২)
🍓 জান্নাতি ফলের শীষ এত বড় হবে যে, তা যদি দুনিয়াতে আসত তবে সাহাবাগণ কিয়ামত পর্যন্ত তা খেয়ে শেষ করতে পারতো না! (মুসলিম-কিতাব সালাতিন খুসুফ)
🍇আঙ্গুর, খেজুর, ডালিম জান্নাতি ফল। (সূরা নাবা ৩১-৩১)
🍓 জান্নাতি যখন কোনো বৃক্ষের ফল পাড়বে তখন সঙ্গে সঙ্গে উক্ত স্থানে অপর এক নতুন ফল ধরবে। (তাবারানি)
🍓 জান্নাতের ফলমূল কখনো ফুড়িয়ে যাবে না এবং নষ্টও হবে না। সুবহানাল্লাহ।
#জান্নাতের_প্রাসাদসমূহঃ
🏫 জান্নাতের অট্টালিকাসমূহ সোনা-চাঁদির ইট দিয়ে নির্মিত হবে।
🏫 জান্নাতের কংকরসমূহ হবে মোতি ও ইয়াকুতের, আর মাটি হবে #জাফরানের।
⛺ সকল জান্নাতির অট্টালিকায় তাঁবু থাকবে, আর সেখানে হুরেরা অবস্থান করবে।
⛺ জান্নাতের প্রতিটি তাঁবু ৬০ মাইল বিস্তৃত হবে। ভিতরে খুব সুন্দর মোতি খোদিত থাকবে।
#জান্নাতের_নদীসমূহ
👉 জান্নাতে সুস্বাদু পানি, সুস্বাদু দুধ, সুমিষ্ট শরাব ও স্বচ্ছ মধুর নদী প্রবাহিত হবে।
👉 জান্নাতের নদীসমূহের পানির রঙ ও স্বাদ সবসময় একই থাকবে।
👉সাইহান, জাইহান, ফুরাত ও নীল জান্নাতি নদী। (মুসলিম)
👉 কাওসার আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল ﷺ কে প্রদত্ত উপহার। কাওসার নদীর পানি দুধ অপেক্ষা শুভ্র এবং মধু অপেক্ষা মিষ্টি!
👉 জান্নাতি এক নদীর নাম হায়াত, যার পানি জাহান্নাম হতে মুক্তিপ্রাপ্তদের শরীরে ঢালা হবে, ফলে তারা দ্বিতীয়বার চারা গাছের ন্যায় সজিব হয়ে উঠবে।
#জান্নাতের_ঝর্ণাসমূহঃ
🌠 জান্নাতের একটি ঝর্ণার নাম #সালসাবিল যার পানিতে আদা মিশ্রিত স্বাদ পাওয়া যাবে৷
🌠 জান্নাতের একটি ঝর্ণার নাম "কাফুর", যার পানি পানে জান্নাতিরা আত্মতৃপ্তি অনুভব করবে।
🌠 #তাসনিম জান্নাতের আরেকটি ঝর্ণা। যার স্বচ্ছ পানি শুধু আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের জন্য বরাদ্দ হবে।
#জান্নাতির_বাজারঃ
👉 জান্নাতে প্রত্যেক জুমু'আর দিন বাজার জমবে।
👉 জুমুয়ার দিন বাজারে অংশগ্রহণকারী জান্নাতীগণের সৌন্দর্য পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে।
👉 মহিলারা শুক্রবারের বাজারে উপস্থিত হবে না তবে বসে থাকা অবস্থায়ই আল্লাহ তাদের লাবণ্যতা বৃদ্ধি করবেন। (মুসলিম)
#জান্নাতিদের_খানাপিনাঃ
🍱 জান্নাতিদের সর্বপ্রথম খাদ্য হলো মাছ, এরপর গরুর গোশত।
🍱 জান্নাতে সর্বোৎকৃষ্ট পানীয় হলো #তাসনীম যা শুধু আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের পরিবেশন করা হবে।
🍱জান্নাতের পরিষ্কার ও স্বচ্ছ শরাব " রাহিক" পানে সকল জান্নাতিরা আত্মতৃপ্তি লাভ করবে। রাহিক পান করার পর জান্নাতির মুখে মিশক আম্বরের সুঘ্রাণ অনুভব করবে। শরাব পানে তাদের মাথায় কোনো প্রতিক্রিয়া হবে না।
🍱 সকল জান্নাতিদের একশো ব্যক্তির খাবারের শক্তি দেওয়া হবে। (তাবারানি)
🍱 হাউজে কাউসারে উড়ে বেড়ানো পাখির গোশত ভক্ষণে জান্নাতিরা আত্মতৃপ্তি লাভ করবে।
🍱 সকাল সন্ধ্যায় জান্নাতিদের খাবার পরিবেশনের নিয়ম চালু থাকবে। (সূরা মারইয়াম ৬২)।
#জান্নাতিদের_পোশকঃ
👕 জান্নাতিরা সূক্ষ্ম ও পুরু সবুজ রেশমের কাপড় পড়বে।
👉 জান্নাতিরা হাতে সোনার অলংকার পড়বে।
👉 খাঁটি রেশমী কাপড়ের পোশাক, খাঁইহপটি স্বর্ণের অলংকার, খাঁটি মোতির অলংকার এবং মোতিখচিত স্বর্ণের অলংকারও জান্নাতিরা পড়বে।
👉পোশাক কখনো পুরাতন হবেনা।
👉 জান্নাতি মহিলাদের ওড়না মান ও দামের দিক থেকে পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ থেকে মূল্যবান হবে।
👉 জান্নাতিরা রেশমি রুমাল ব্যবহার করবে।(বুখারী)
#জান্নাতিদের_সেবকঃ
🌷জান্নাতিদের সেবকরা কৈশর বয়সী হবে।
🌷 জান্নাতিদের সেবক এমন সুন্দর হবে যে, চলতে ফিরতে মনে হবে যেন বিক্ষিপ্ত মোতি।
🌷 সুরক্ষিত মোতি সদৃশ কিশোররা জান্নাতিদের সেবা করার জন্য ঘুরাফেরা করতে থাকবে।
#আল্লাহর_দর্শন
💝 আল্লাহর দর্শনের সময় জান্নাতিদের চেহারা খুশিতে চককিতে থাকবে।
💝 জান্নাতে জান্নাতিরা এর স্পষ্টভাবে আল্লাহকে দেখবে যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদকে স্পষ্ট দেখা যায়।
সুবহানাল্লাহ। জান্নাতের সকল বর্ণনা লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। এর প্রকৃত অবস্থা আল্লাহ'ই ভালো জানেন। আল্লাহ আমাদের জন্য এমন কিছু তৈরি করে রেখেছেন, যা কোনো মানব কল্পনাও করতে পারবে না৷ সুবহানাল্লাহ!
আল্লাহ আমাদের জান্নাতের এসব নিয়ামত লাভ করার তাওফিক দিন-আমীন।💝💝💝
0 Comments