Ad

অবিবাহিত_মেয়েদের_জন্য_কিছু_নসিহত!



আল্লাহ পাক মেয়েদেরকে আদর ও স্নেহে
থাকার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
একটি মেয়ের লালনপালনের দায়িত্ব তার বাবা, ভাই,
স্বামী বা ছেলের উপর থাকে। দুনিয়া সকলের
জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র।
,
বিয়ের আগের সময়টুকু মেয়েদের জন্য অনেক
সহজ হলেও, বিয়ের পর থেকে তার জন্য প্রকৃত
পরীক্ষা শুরু হয়। স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে
মেয়েদের জীবন এক বড় পরীক্ষা।
,
এখানে কয়েকটি হাদিস বর্ণনা করে মেয়েদের
জন্য করণীয় বিষয়গুলো শেষে উল্লেখ
করবো, ইনশা আল্লাহ।
,
একবার আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু
আনহা নবীজী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
সাথে দেখা করতে আসেন এবং এসে দেখেন
যে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
একাকী বসে কাঁদছেন।
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ!
আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আপনি
কাঁদছেন কেনো?
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন
জানালেন যে, মিরাজের রাত্রিতে আমি আমার
উম্মতের নারীদেরকে জাহান্নামের ভয়ানক
আজাবে গ্রেফতার দেখতে পেয়েছি। তারপর
নবীজী নারীদের শাস্তির বর্ণনা করলেন, লম্বা
হাদিস।
ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাদের গোনাহ সম্পর্কে
জানতে চাইলে নবীজী বলেন,
তারা হলোঃ
১) ঐ
নারী যে মাথার চুল খুলে বেপর্দা হয়ে ঘর
থেকে বের হয়,
২) ঐ নারী যে তার স্বামীকে কটুকথার মাধ্যমে
কষ্ট দেয় এবং স্বামীকে সম্মান করেনা,
৩) ঐ
নারী যে বিবাহিত হয়েও পর পুরুষের সাথে
সম্পর্ক রাখে,
,
৪) ঐ নারী যে অপবিত্র হওয়ার পর পবিত্রতা
অর্জনে অলসতা করে এবং নামাজ কাজা করে
ফেলে (জাহান্নামে এদের চেহারা শুকরের
মতো ও শরীর গাধার মতো হবে),
৫) ঐ নারী যে মিথ্যা কথা বলে এবং গীবত করে
(জাহান্নামে এদের মুখ দিয়ে আগুন প্রবেশ
করিয়ে পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের করা হবে এবং
একজন ফেরেশতা তাকে প্রহার করতে থাকবে)
এবং
৬) ঐ নারী যে অন্যের সুখ দেখে হিংসা করে
এবং উপকার করে খোঁটা দেয়। (এদের চেহারা
কুকুরের মতো হবে)
.
অন্য এক হাদিসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ ফরমান,
আমি জান্নাতের দিকে তাকালাম,
সেখানে অধিকাংশ গরীব লোকদের দেখতে
পেলাম।
আমি জাহান্নামের দিকে তাকালাম,
সেখানে অধিকাংশ
মেয়েদের দেখতে পেলাম।
,
অন্য এক হাদিসে
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ
ফরমান, আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়েছে, এর
থেকে ভয়ানক কিছু আমি কখনো দেখিনি এবং
সেখানে অধিকাংশ মানুষ মেয়েরা ছিলো। সাহাবীগণ
এর কারণ জানতে চাইলে নবীজী এরশাদ ফরমান,
কারণ তারা অকৃতজ্ঞ। সাহাবীদের মধ্য থেকে
একজন জিজ্ঞাসা করলেন, তারা কি আল্লাহর প্রতি
অকৃতজ্ঞ? নবীজী এরশাদ ফরমান, তারা তাদের
স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ।
,
তুমি তার সাথে সারা জীবন ভালো ব্যবহার করে
চলেছো, তারপর একদিন যদি তার মতের বিরুদ্ধে
কিছু করো, তাহলে সে বলবে, আমি কোনোদিন
তোমার কাছ থেকে ভালো কিছু পাইনি।
,
কেউ কেউ মনে করতে পারে অবিবাহিত
মেয়েদের নিয়ে লিখতে গিয়ে বিবাহিত
মেয়েদের নিয়ে লিখছি।
আসলে যে কোনো
ক্লাস তার পরবর্তী ক্লাসের জন্য তৈয়ারির সময়।
,
অবিবাহিত মেয়েদের নিজেকে এমনভাবে তৈরি করা
উচিত যেন সে তার বিবাহিত জীবনের পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হতে পারে।
.
১) সর্বপ্রথম নিজেকে পর্দায় আবদ্ধ করতে
হবে। নিজের সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখতে হবে।
পুরুষরা মেয়েদের কাঙ্গাল।
একটি মেয়ে বেপর্দা হলে রাস্তার সকল পুরুষ তার
দিকে তাকাবে এবং কেউ কেউ মেয়েটিকে
নিয়ে খারাপ চিন্তাও করে বসবে।
এতে এই পুরুষগুলো যেমন গোনাহগার হয়,
মেয়েটিও গোনাহগার হয়।
পর্দা মানে হলো তাকে সম্পূর্ণ কালো বোরকা,
কোনোরূপ নক্সাবিহীন, সমস্ত
মুখমণ্ডল ঢাকা, হাতমুজা ও পামুজা সহ এবং মেয়েরা
অবশ্যই একাকী ঘর থেকে বের হবে না।
পর্দা কোন মেয়েকে বঞ্চিত করে রাখা নয়,
মেয়েরা মূল্যবান বলেই পর্দা করতে হবে। এই
ব্যাপারে বিখ্যাত বক্সার মুহাম্মাদ আলী তার
মেয়েকে কিছু কথা বলেছিল যা তার মেয়ে
উল্লেখ করে এভাবেঃ
কথোপকথনের সময় মেয়ে তার বান্ধবীর সাথে
পাশ্চাত্য পোশাক পরিহিত ছিল) আমার বাবা আমাদের
দিকে খুব ভালোভাবে তাকালেন।
তারপর আমাকে তার কোলে বসিয়ে এমন কিছু কথা
বললেন যা আমি কখনো ভুলবো না। তিনি আমার
চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে বললেন, হেনা,
আল্লাহ পাক যাকিছু দুনিয়াতে মূল্যবান বানিয়েছেন তা
সবকিছুই ঢাকা থাকে এবং সহজে তা অর্জন করা সম্ভব
নয়।
বলতো হিরা কোথায় পাওয়া যায়? মাটির গভীরে, ঢাকা
এবং সুরক্ষিত থাকে। বলতো মুক্তা কোথায় পাওয়া
যায়? সাগরের গভীরে ঝিনুক অভ্যন্তরে ঢাকা ও
সুরক্ষিত থাকে। তারপর তিনি আমার দিকে খুব
মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে বললেন, তোমার
শরীরটা খুব পবিত্র, যা হিরা বা মুক্তা থেকেও
অনেক বেশি মূল্যবান। তাই নিজেকে ঢেকে
রাখো।
.
২) স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করে
মেয়েরা দ্বীনহারা হয়ে বড় হয়। বেপর্দা হয়।
নারী স্বাধীনতার নামে মেয়েদেরকে
স্বামীদ্রোহী বানানো হয়। ঘরের পবিত্র
জীবনের পরিবর্তে বাইরের পণ্য হিসেবে
ব্যবহৃত হয়। এক স্বামীর আদরে থাকার পরিবর্তে
বাইরে হাজার পুরুষের জন্য মজা দেয়ার বস্তুতে
পরিণত হয়। কখনো বাসের কন্ডাক্টর হাত ধরে
বাসে তুলে মজা পায়, বাসের ভিড়ে পুরুষ যাত্রীরা
ইচ্ছা করে ধাক্কা দিয়ে মজা পায়, কিংবা বর্তমানে ছাত্র-
ছাত্রীরা প্রেম করার নামে পাশ্চাত্য সভ্যতা বা হিন্দি
সিনেমার অনুকরণ করে জিনা করতে শুরু করেছে।
আর এইসব প্রেম যেহেতু স্থায়ী সম্পর্ক নয়,
তাই অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা নিজেদের
স্বতিত্ব হারিয়ে বসে এবং পরবর্তীতে
স্বামীকে ধোকা দেয়।
স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির পড়াশুনার নামে
ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা
ছেলেমেয়েদের জীবনকে ধ্বংস করে
দিচ্ছে। তাই অন্তত ইউনিভার্সিটি লাইফ শুরু হওয়ার
আগেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়া উচিৎ।
এইসব ফালতু সার্টিফিকেট আখিরাতে কোনো
কাজে আসবে না
.
অন্য এক হাদিসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ ফরমান,
আমি জান্নাতের দিকে তাকালাম,
সেখানে অধিকাংশ গরীব লোকদের দেখতে
পেলাম।
আমি জাহান্নামের দিকে তাকালাম,
সেখানে অধিকাংশ
মেয়েদের দেখতে পেলাম।
,
অন্য এক হাদিসে
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ
ফরমান, আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়েছে, এর
থেকে ভয়ানক কিছু আমি কখনো দেখিনি এবং
সেখানে অধিকাংশ মানুষ মেয়েরা ছিলো। সাহাবীগণ
এর কারণ জানতে চাইলে নবীজী এরশাদ ফরমান,
কারণ তারা অকৃতজ্ঞ। সাহাবীদের মধ্য থেকে
একজন জিজ্ঞাসা করলেন, তারা কি আল্লাহর প্রতি
অকৃতজ্ঞ? নবীজী এরশাদ ফরমান, তারা তাদের
স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ।
,
তুমি তার সাথে সারা জীবন ভালো ব্যবহার করে
চলেছো, তারপর একদিন যদি তার মতের বিরুদ্ধে
কিছু করো, তাহলে সে বলবে, আমি কোনোদিন
তোমার কাছ থেকে ভালো কিছু পাইনি।
,
কেউ কেউ মনে করতে পারে অবিবাহিত
মেয়েদের নিয়ে লিখতে গিয়ে বিবাহিত
মেয়েদের নিয়ে লিখছি।
আসলে যে কোনো
ক্লাস তার পরবর্তী ক্লাসের জন্য তৈয়ারির সময়।
,
অবিবাহিত মেয়েদের নিজেকে এমনভাবে তৈরি করা
উচিত যেন সে তার বিবাহিত জীবনের পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হতে পারে।
.
১) সর্বপ্রথম নিজেকে পর্দায় আবদ্ধ করতে
হবে। নিজের সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখতে হবে।
পুরুষরা মেয়েদের কাঙ্গাল।
একটি মেয়ে বেপর্দা হলে রাস্তার সকল পুরুষ তার
দিকে তাকাবে এবং কেউ কেউ মেয়েটিকে
নিয়ে খারাপ চিন্তাও করে বসবে।
এতে এই পুরুষগুলো যেমন গোনাহগার হয়,
মেয়েটিও গোনাহগার হয়।
পর্দা মানে হলো তাকে সম্পূর্ণ কালো বোরকা,
কোনোরূপ নক্সাবিহীন, সমস্ত
মুখমণ্ডল ঢাকা, হাতমুজা ও পামুজা সহ এবং মেয়েরা
অবশ্যই একাকী ঘর থেকে বের হবে না।
পর্দা কোন মেয়েকে বঞ্চিত করে রাখা নয়,
মেয়েরা মূল্যবান বলেই পর্দা করতে হবে। এই
ব্যাপারে বিখ্যাত বক্সার মুহাম্মাদ আলী তার
মেয়েকে কিছু কথা বলেছিল যা তার মেয়ে
উল্লেখ করে এভাবেঃ
কথোপকথনের সময় মেয়ে তার বান্ধবীর সাথে
পাশ্চাত্য পোশাক পরিহিত ছিল) আমার বাবা আমাদের
দিকে খুব ভালোভাবে তাকালেন।
তারপর আমাকে তার কোলে বসিয়ে এমন কিছু কথা
বললেন যা আমি কখনো ভুলবো না। তিনি আমার
চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে বললেন, হেনা,
আল্লাহ পাক যাকিছু দুনিয়াতে মূল্যবান বানিয়েছেন তা
সবকিছুই ঢাকা থাকে এবং সহজে তা অর্জন করা সম্ভব
নয়।
বলতো হিরা কোথায় পাওয়া যায়? মাটির গভীরে, ঢাকা
এবং সুরক্ষিত থাকে। বলতো মুক্তা কোথায় পাওয়া
যায়? সাগরের গভীরে ঝিনুক অভ্যন্তরে ঢাকা ও
সুরক্ষিত থাকে। তারপর তিনি আমার দিকে খুব
মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে বললেন, তোমার
শরীরটা খুব পবিত্র, যা হিরা বা মুক্তা থেকেও
অনেক বেশি মূল্যবান। তাই নিজেকে ঢেকে
রাখো।
.
২) স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করে
মেয়েরা দ্বীনহারা হয়ে বড় হয়। বেপর্দা হয়।
নারী স্বাধীনতার নামে মেয়েদেরকে
স্বামীদ্রোহী বানানো হয়। ঘরের পবিত্র
জীবনের পরিবর্তে বাইরের পণ্য হিসেবে
ব্যবহৃত হয়। এক স্বামীর আদরে থাকার পরিবর্তে
বাইরে হাজার পুরুষের জন্য মজা দেয়ার বস্তুতে
পরিণত হয়। কখনো বাসের কন্ডাক্টর হাত ধরে
বাসে তুলে মজা পায়, বাসের ভিড়ে পুরুষ যাত্রীরা
ইচ্ছা করে ধাক্কা দিয়ে মজা পায়, কিংবা বর্তমানে ছাত্র-
ছাত্রীরা প্রেম করার নামে পাশ্চাত্য সভ্যতা বা হিন্দি
সিনেমার অনুকরণ করে জিনা করতে শুরু করেছে।
আর এইসব প্রেম যেহেতু স্থায়ী সম্পর্ক নয়,
তাই অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা নিজেদের
স্বতিত্ব হারিয়ে বসে এবং পরবর্তীতে
স্বামীকে ধোকা দেয়।
স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির পড়াশুনার নামে
ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা
ছেলেমেয়েদের জীবনকে ধ্বংস করে
দিচ্ছে। তাই অন্তত ইউনিভার্সিটি লাইফ শুরু হওয়ার
আগেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়া উচিৎ।
এইসব ফালতু সার্টিফিকেট আখিরাতে কোনো
কাজে আসবে না
.
৩) গোনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার খুব
চেষ্টা করা চাই।
কে আছে যে আজ এখন থেকে নিয়ত করবে
যে, এই মূহুর্ত থেকে আমি আর কোনোদিন গান
শুনবো না?
,
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও আপুরা ভুল হলে
ক্ষমার দৃস্টিতে দেখবেন।

Post a Comment

0 Comments