হয়রত আবু বক্কর (রাদিআল্লাহু আনহু) এত বেশি কাঁদতেন যে,তার বুকের ভেতর ব্যাথা অনুভব করতেন।
হয়রত উমর (রাদিআল্লাহু আনহু) এত কাদতেন যে তার দুই কপোলে অশ্রুধারার দাগ বসে গিয়েছিল।
হয়রত আলি (রাদিআল্লাহু আনহু) রাতে মিহরাবে বসে এত বেশি ক্রন্দন করতেন তার দাড়ি বেয়ে টপ টপ করে অশ্রু ঝরত বলতো 'হে পৃথিবী,আমার বিকল্প খুঁজো কারন তোমার সাথে আমার সম্পর্ক নাই।
প্রিয় ভাই, তারা এত কাঁদতেন কেন?তারা তো জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবি ছিল তাও তারা এত ক্রন্দন করতেন কেন? কারন তাদের মধ্য আল্লাহ্ভীতি ছিলো তারা পরকালকে ভয় করতেন তাই এত কাঁদতেন আর আমরা?
তাদের দিকে দৃষ্টি দিলে আমাদের তো আরো বেশি ক্রন্দন করা উচিত নয় কি? আমাদের আল্লাহ্ভীতি কোথায়?
তাদের পথ ছেড়ে আমরা আজ কোথায়?
আমরা আজ কিসের নেশায় পরে আছি?
কি আমাদের এত মুগ্ধ করলো?
দুনিয়ার চাকচিক্য কি আমাদের এত্য মধুর করে দিচ্ছে?
চারটি জিনিস আমাদের তিনদিক থেকে ধেয়ে আসছে ইবলিস, নফস,দুনিয়া, আসক্তি। এই চারটা জিনিস থেকে কি আপনি মুক্ত হয়ে গেছেন? তাহলে কিসের আশায় আপনি হেলায় আপনার দিন কাটাচ্ছেন?
আপনি কি তাদের থেকে বেশি দুনিয়াবিমুখি?আপনি কি তাদের থেকে বেশি নফসের উপর নিয়ন্ত্রন নিয়ে ফেলসেন?
শয়তানের ধোকা থেকে কি আমরা মুক্ত?
আমরা কি দুনিয়াবি বিষয় তাদের থেকে বেশি আসক্তি নয় কি?
আমরা কেন তাদের অনুসরণ করছিনা?
জীবনটা তোমার ক্রমেই শেষ হতে চলেছে, অথচ তুমি সীমালংঘন করেই যাচ্ছ। এটা অনেক বড় বিপদ! এই বিপদের উপর তোমাকে কাঁদতে হবে। অন্যথায় তুমি বঞ্চিত হবে। তোমার জীবনটা সাক্ষ্য দেয় যে তোমার অতীত আর কখনো ফিরে আসবে না। জীবনের কথা বলে তোমাকে আমি কত নসিহত করলাম! ছাড়াও তোমার বৃদ্ধকাল তোমাকে জানাচ্ছে যে, তুমি মৃত্যুর খুব নিকটে চলে এসেছ। আর উপদেশের ভাষা তোমাকে ডেকে বলছে:
📖 হে মানুষ! তোমাকে তোমার পালনকর্তা পর্যন্ত পৌছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে। এরপরই তার সাক্ষাৎ ঘটবে। [ সূরা আল_ইনশিকাক: ০৬]
⚛Collected post⚛
0 Comments