وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَا لٰعِبِیۡنَ ﴿۱۶﴾ আসমান-যমীন ও তাদের মাঝখানে যা কিছু আছে তার কোন কিছুই আমি খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। (সূরা আম্বিয়াঃ১৬)
প্রত্যেক সৃষ্টির পিছনেই আল্লাহ তায়ালার মহান উদ্দেশ্য বিরাজমান। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা মানুষজাতিকেও অনর্থক সৃষ্টি করেননি। আল্লাহ তায়ালা মানুষজাতিকে একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর সেটা হলো আল্লাহ তায়ালার গোলামী করা। আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেনঃ
وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ ﴿۵۶﴾
আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে। (সূরা যারিয়াতঃ ৫৬)
আল্লাহ তায়ালার গোলামী করার মধ্যেই মানুষের সফলতা। আল্লাহ তায়ালার গোলামী করা মানে হলো আল্লাহ তায়ালা যা করতে আদেশ করেছেন তা করা। আর যা করতে নিষেধ করেছেন তা না করা। যে মানুষ আল্লাহ তায়ালার গোলামী করে সে তার নিজের সফলতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করে। পক্ষান্তরে যে মানুষ আল্লাহ তায়ালার হুকুম মেনে না চলে এবং সে তার খেয়াল খুশি মতো জীবনকে পরিচালিত করে সে ব্যর্থতার দিকেই নিজেকে ধাবিত করে। এই ব্যর্থতা থেকে পরিত্রান বা মুক্তির একটাই উপায় আর তা হলো মৃত্যুর পূর্বেই পিছনের জীবনে করে যাওয়া গোনাহের জন্য তওবা করে আল্লাহর পরিপূর্ণ গোলাম হয়ে যাওয়া।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময়ের জন্য এই পৃথিবীতে জীবন দান করে পাঠিয়েছেন। আর এই সময়টুকু প্রত্যেক মানুষের জন্য একটি পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষাটাই মহা-পরীক্ষা। কেননা এই পরীক্ষার উপরই নির্ভর করবে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের মহা-সাফল্য ও ব্যর্থতা।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেনঃ
بَلٰی ٭ مَنۡ اَسۡلَمَ وَجۡہَہٗ لِلّٰہِ وَ ہُوَ مُحۡسِنٌ فَلَہٗۤ اَجۡرُہٗ عِنۡدَ رَبِّہٖ ۪ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۱۱۲﴾٪
হ্যাঁ, যে নিজকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও, তবে তার জন্য রয়েছে তার রবের নিকট প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সূরা বাকারাঃ১১২)
0 Comments