Ad

বাদশা হারুনুর রশীদ ( রাঃ) উনার স্ত্রী যোবাইদার জীবনি।




আচ্ছালামু আলাইকুম।

যোবাইদার এক বান্ধী সপ্ন যুগে দেখলেন যোবাইদা জান্নাতের মধ্যে ঘুরা ফেরা করছে।তখন সপ্নযুগে যোবাইদাকে প্রশ্ন করলেন যোবাইদা তুমি জান্নাত কি ভাবে পেলে কোন আমলের কারনে জান্নাত পেলে। তখন যোবাইদা তার বান্ধীকে বললেন তুমি বলতো আমি কোন আমলের কারনে জান্নাতে পেতে পারি।
তখন যোবাইদার বান্ধিকে বললেন আমি তোমার গোপন আমলের কথা বলতে পারবো না,তবে আমি তোমার একটা আমলের কথা বলতে পারি। যে আমলটা আমি দেখেছি। যোবাইদা মুরুভূমির মধ্যে একটি নহর খুড়েছিল,তার মনের নিয়াত ছিলো আমি এই মরুভূমিতে একটি কুয়া করবো।সে কুয়াতে পশু পাখি পোকামাকড় মানুষ সবাই পানি পান করবে, আর আল্লাহ খুশি হয়ে এর বিনিময়ে আমাকে ছওয়াব দিবেন।
তাই যোবাইদা মরুভূমিতে একটি নহর করলো। আর ওই নহরের নাম ছরিয়ে পরে নহর যোবাইদা ।তখন যোবাইদার বান্ধী বললেন আমার মনে হয় নহরে যোবাইদার কারনে আল্লাহ তোমাকে জান্নাত দান করছেন।তখন যোবাইদা বললেন না না সে কারনে আল্লাহ আমাকে জান্নাত দেয়নি।বরং আল্লাহ গোসশা হয়েছে আমার এই আমলের কারনে।যোবাইদার বান্ধী বললেন কেন আল্লাহ গোসশা হয়েছে।যোবাইদা বললেন আমি এই নহরের নাম নহরে যোবাইদা রেখেছি তাই।আমার এটা একদম ঠিক হয়নি নহরে যোবাইদা নাম রাখা,শুধু নামের কারনে আল্লাহ গোসশা হয়েছে।
তখন যোবাইদার বান্ধী বললেন তাহলে কোন আমলের কারনে তুমি জান্নাত পেয়েছো।এবার যোবাইদা বললেন শোনো।আমার অনেক পানির পিপাসা পেয়েছিল তাই আমার দাশিকে বললাম আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো আমি পানি করবো।যোবাইদার হুকুম মত দাশি একটু পরেই পানির বদলে সরবত নিয়ে আসে।ঠিক সেই সময় মসজিদ থেকে আজান শুনতে পাই।দাশি আমাকে পানি এনে দিল।
আমি বললাম পানি খাবার সময় নেই আজান হয়ে গেছে, নামাজ পড়ে তার পর পানি খাবো। দাশি তখন বললেন মনীবা আপনি পানিটা খেয়েও তো নামাজ পরতে পারবেন পানি খেতে আর কয় মিনিট লাগবে জোর দু এক মিনিট। তখন আমি দাশিকে বললাম আমি যদি এখন এই পানি পান করার সমায় মারা যাই, আর যদি আল্লাহ আমাকে বলে যে তুমি পানিটা তো পরে পান করতে পারতে আগে আমার নামাজ পড়তে।
তখন আমি কি জবাব দিব আল্লাহর কাছে।তাই আমি আগে নামাজ পড়ে নিয়েছি তার পর পানি পান করছি।আমি আমার কাজের চেয়ে নামাজের গুরুত্ব বেশি দিয়েছি। আমার এই আমল টা আল্লাহ অনেক পছন্দ করেছেন।আল্লাহ আমার সব ভুল ক্ষমা করে দিয়ে আমার এই আমলের অছিলায় আমাকে আল্লাহ খুশি হয়ে জান্নাত দান করেছেন।
___সুবহান আল্লাহ

Post a Comment

0 Comments