হজরত আলী (রাঃ) এবং শিশু হাসান ও হোসাইন (রাঃ) হজরত আলী ভাবছিলেন যে, খাটিয়া বহন করার জন্য মানুষ আরও একজন প্রয়োজন তবেই চার কোনায় চারজন কাঁধে নিতে পারবেন।
এমন সময় হজরত আবু জর গিফারী (রাঃ) এলেন ও খাটিয়ার এক কোনা বহন করলেন। হজরত আলী প্রশ্ন করলেন, আমি তো কাউকে জানাইনি, আপনি জানলেন কিভাবে ?
হজরত আবু জর গিফারী (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রসুল (সঃ) কে স্বপ্নে দেখেছি। তিনি বললেন, হে আবু জর! আমার ফাতিমার লাশ বহন করার লোকের অভাব, তুমি গিয়ে একটু ধর।হজরত আবু জর গিফারী (রাঃ) কবরের কাছে গিয়ে বললেন, হে কবর, আজ তোমার মধ্যে কে আসছে জান ?
দো জাহানের বাদশাহের মেয়ে, হজরত আলীর স্ত্রী, হাসান ও হোসাইনের মা, জান্নাতের সর্দারনী, খবর্দার কবর বেয়াদবি করোনা।
আল্লাহ্ কবরের জবান খুলে দিলেন, কবর বলল, আমি দো জাহানের বাদশাহের মেয়েকে চিনিনা, হজরত আলীর স্ত্রীকে চিনিনা, হাসান ও হোসাইনের মাকে চিনিনা, জান্নাতের সর্দারনীকে চিনিনা, আমি শুধু চিনি- ঈমান আর আমল।
একটু চিন্তা করে দেখুন- যদি নবী (সঃ) এর আদরের মেয়ে যাকে জান্নাতের সর্দারনী বলা হয়েছে। তার জন্য যদি কবর এমন হয়! তাহলে আমরা কিসের আশায় কি চিন্তা করে আল্লাহর হুকুম থেকে এতো গাফেল (ভুলে) আছি।
আল্লাহ্ আমাদের ঈমান ও নেক আমল নিয়ে কবরে যাবার তওফীক দান করুন। . . . আমিন
0 Comments